মার্কিন সামরিক বাহিনীর এই তথ্যগুলো জানলে চমকে উঠবেন

সামরিক খাতে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করে প্রায় প্রত্যেক দেশই। ২০১৫ সালের বাজেট অনুসারে নিরাপত্তা খাতে ব্যয় নিরিখে বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভারত। শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে আমেরিকা তালিকার শীর্ষে। তার পর চীন। আমেরিকা মোট জাতীয় আয়ের ২.৩ শতাংশ ব্যয় করেছিল গত বছর।

যার পরিমাণ প্রায় ৫৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। সেখানে ভারত ব্যয় করেছে মাত্র ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। শুধু নিজের দেশেই নয়, গোটা বিশ্বে নজরদারি চালাতে খরচের বহর আকাশচুম্বী। বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, মার্কিন নিরাপত্তাবাহিনী নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন।

১. মার্কিন সামরিক বাহিনীর বেস ক্যাম্প ১৫,৬৫৪ স্কোয়্যার মাইল জুড়ে বিস্তৃত। ওয়াশিংটন ডিসি, ম্যাসাচুসেট এবং নিউ জার্সিকে এক করলেও বড় হবে তাদের বেস ক্যাম্প।

২. ২০৩৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর আহত সেনার জন্য ৫৯ হাজার কোটি বিলিয়ন ডলার খরচ করবে হোয়াইট হাউস।

৩. ২০০৭ সালে ইরাক যুদ্ধের জন্য আমেরিকা ১১ হাজার কোটি ডলার খরচ করেছিল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই অর্থ প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার শিক্ষককে মাইনে দিতে পারতো মার্কিন সরকার।

৪. এমনকী ইরাক যুদ্ধে এক জন মার্কিন সেনার পিছনে বছরে যে অর্থ খরচ করা হয়, তাতে ৬০টি মার্কিন পরিবার বছরভর আরামে তাদের সংসার চালিয়ে নিতে পারবেন।

৫. ২০০৮ সালে ইরাক যুদ্ধের জন্য পেন্টাগন প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে যে অর্থ খরচ করেছিল, সেটা মার্কিন নাগরিকদের বাত্সরিক গড় আয়।

৬. এক জন মার্কিন নাগরিকের আয়করের ৮০ শতাংশ অর্থ সামরিক বাহিনীর কাজে ব্যবহার করা হয়।

৭. রেডিয়েশন এক্সপোজার কমপেনসেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী মার্কিন সরকার ১৯৯৮ সালে ২ হাজার ৭০০ জন রেডিয়েশন আক্রান্ত কর্মীদের দিয়েছিল ২ কোটি ২৫ লক্ষ ডলার।

৮. ১৯৪০-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মার্কিন সরকার ৫ লক্ষ ৮০ কোটি (৫.৮ ট্রিলিয়ন) ডলার পারমাণবিক শক্তি খাতে খরচ করেছে।

৯. যদি এই অর্থ আমেরিকার প্রত্যেক নাগরিককে দেওয়া হয় তা হলে জন প্রতি ২১ হাজার ডলার করে পেতেন।

১০. অথবা এ ভাবেও বোঝানো যেতে পারে, প্রতি সেকেন্ডে এক ডলার করে গুনলে ১০ লক্ষ ডলার গুণতে সময় লাগবে ১২ দিন। ৩২ বছর সময় লাগবে ১০০ কোটি ডলার গুণতে। ১ লক্ষ কোটি গুণতে সময় লাগবে ৩১ হাজার ৭০৯ বছর। আর ৫ লক্ষ ৮০ কোটি ডলার গুণতে সময় লাগবে কত? ১,৮৪,৫৭৯ বছর। -আনন্দবাজার



মন্তব্য চালু নেই