মানুষ বাঁচবে ৫০০ বছর!

বিশ্ববিখ্যাত বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি সার্চইঞ্জিন কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসার আকার এবং পরিধি বাড়াতে ভুল করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ট্যাক্সি ফার্ম, মোবাইল প্রযুক্তি ও কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রকৌশলে ইতোমধ্যেই গুগল বিশ্বে নিজস্ব অবস্থান দখল করে নিয়েছে। তবে এখানেই থামতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি গুগল মানুষের অমরত্ব নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে।

ব্লুমবার্গ পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাতকারে গুগলের প্রেসিডেন্ট বিল মারিস আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তাদের গবেষণার ফলে মানুষ অন্তত ৫০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বায়োমেকানিক্সের অগ্রগতি সাধনের মাধ্যমেই মানুষের আয়ু বাড়ানো সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। ইতোমধ্যেই মানবশরীরের ক্যান্সারের আক্রমন ঠেকাতে এবং জিন সংক্রান্ত গবেষণায় প্রতিষ্ঠানটি বিপুল পরিমান অর্থ বিনিয়োগ করেছে।

১৩বিল মারিস ২০০৯ সালে গুগল ভেঞ্চার নামে একটি প্রকল্প শুরু করেন। এই প্রকল্পের অধীনেই পুরো গবেষণাটি চলবে বলে জানা যায়। এছাড়াও মানুষের অন্ধত্ব মোচনে কৃত্তিম লেন্স তৈরির জন্যও গুগল কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি ২০১৩ সালে গুগল এবং অ্যাপলের যৌথ উদ্যোগে ‘ক্যালিকো’ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি মানুষের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগ-ব্যধি নিয়ে গবেষণায় যুক্ত আছে।

গুগলের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ল্যারি পেজ জানান, এই প্রকল্পটি মানুষের স্বাস্থসেবার দিকে নজর দেবে এবং গত সেপ্টেম্বরে ক্যালিকো ‘অ্যবভাই’ নামের অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ক্যান্সার বিষয়ক গবেষণার জন্য।

গুগলের অপর এক প্রকৌশলী ক্রুজওয়েল দাবি করেন, ২০৪৫ সাল নাগাদ মানবশরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে যন্ত্র দ্বারা প্রতিস্থাপন করা যাবে। আর ২১০০ সাল নাগাদ গোটা মানবশরীরকে আরও নিখুতভাবে যন্ত্রনির্ভর করা সম্ভব হবে। যাতে মানুষ অনায়াসে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে। মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা আরও উন্নততর পর্যায়ে উন্নীত হলে অনেক অমীমাংসিত বিষয়ের মীমাংসা করা যাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



মন্তব্য চালু নেই