মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে মালয়েশিয়ায় ১২ পুলিশ কর্মকর্তা আটক

মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ১২ পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেছে মালয়েশিয়া। বুধবার তাদের আটক করা হয়। দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ওয়ান জুনাইদি তুয়ানকু জাফর তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে দেশটির থাই সীমান্তে অন্তত ১৪০টি কবর ও ২৮টি বন্দি শিবিরের সন্ধান পায় দেশটির পুলিশ। কবরগুলোতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও বাংলাদেশী অভিবাসীদের লাশ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

দেশটির পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ মঙ্গলবার লাশগুলো উত্তোলন শুরু করে। এছাড়া পরিত্যক্ত বন্দি শিবিরগুলোতে মানবপাচারকারীরা অভিবাসীদের নির্যাতন করত বলে প্রমাণ পায় পুলিশ ও সাংবাদিকরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে ঘটনার সঙ্গে পুলিশের জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে। কারণ থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে ৩০ মাইল দূরে ছিল নির্যাতন শিবিরগুলো।

ওয়ান জুনাইদি জানান, প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ওই মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে ওই ১২ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সকল অফিসারকে বন্দি করা হবে। মানবপাচারের ঘটনা জেনেও যদি কোনো কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে থাকে তা হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং তার বিচার করা হবে।’

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে প্রথম থাইল্যান্ডের গহীন জঙ্গলে আবিষ্কার হয় অভিবাসীদের গণকবর ও বন্দিশিবির। এরপরই টনক নড়ে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষের।



মন্তব্য চালু নেই