মানবপাচারের নতুন রুট বাংলাবাজার

মানবপাচারের নতুন রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কক্সবাজার সদরের বাংলাবাজার ও আশ-পাশের এলাকা। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সংঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেট ওই এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত মানবপাচারের সাথে জড়িত রয়েছে।

সম্প্রতি উখিয়ার মনির মার্কেট এলাকা থেকে মানবপাচার চক্রের মূল হোতা বাংলাবাজারের শাহীনসহ ১৪ মালয়েশিয়াগামী যাত্রী পুলিশের হাতে আটকের পর বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গেছে- কক্সবাজার শহর, উখিয়া, টেকনাফ, পেকুয়া, মহেশখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মানবপাচার রোধে সর্তকাবস্থায় রয়েছে। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সদরের বাংলাবাজার এলাকার নয়াপাড়া ও পিএমখালী এলাকায় মানব পাচারের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে গড়ে তুলেছে ওই সিন্ডিকেট।

এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাবাজার কৃষি ব্যাংক এলাকার মৃত জহির মেম্বারের ছেলে মোহাম্মদ শাহীন ও পশ্চিম মোক্তারকুলের মোহাম্মদ হোসনের ছেলে শাহজাহান।

এদের নেতৃত্বে দেশের বিভন্ন জায়গায় রয়েছে একটি শক্তিশালী গ্রুপ। যারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নরসিংদী, সাতকানিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মালয়েশিয়াগামী লোকজনকে নিয়ে এসে নয়াপাড়া ও পিএমখালীর একাধিক বসতবাড়িতে রাখে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব বসতবাড়িকে তারা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবেই ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে করে শহরের সমিতি পাড়া, নুনিয়ারছড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, খুরুস্কুল, পিএমখালী, উখিয়াসহ একাধিক পয়েন্টে নিয়ে এসে ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয় লোকজনকে। প্রসঙ্গত, শাহীনের নেতৃত্বে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সাগরপথে মালেশিয়ায় পাচারের সময় ৯ সেপ্টেম্বর রাতে দালালসহ ১৪ যাত্রীকে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশ।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ অংসা থোয়াই বাংলাবাজারের শাহীনসহ আটক ২ দালালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, সদরের নয়াপাড়া ও পিএমখালী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে শাহীনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ঘাঁটি তৈরি করে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় লোক পাচার করে আসছিল।

কক্সবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান জানান, মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে তা নির্মূল করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।



মন্তব্য চালু নেই