মাধবদীতে শতকোটি টাকার সম্পত্তি রক্ষায় মন্ত্রী ও মেয়রের হস্তক্ষেপ

খন্দকার শাহিন, মাধবদী (নরসিংদী) থেকে: মাধবদী বাজারের বড়মসজিদ এর সামনে ৭০ শতাংশ সরকারি ভূমি দখল নিয়ে আনোয়ারগং পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করে ও মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর। অবশেষে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. জেনারেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু (বীর প্রতীক) ও মাধবদী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়রের হস্তক্ষেপে মসজিদের পক্ষে সম্পত্তি সুরহার পথে।

আজ ১১ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় মাধবদী পৌরসভার বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব মো.মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক মসজিদের হাজারো মুসল্লিদের সামনে বক্তব্যে বলেন, মসজিদ কমিটি যদি আইনগত ভাবে উল্লেখিত ভূমির দখলদার হয়,তবে কারো সাধ্য নেই এই ভূমি দখল করবার।

তিনি আরো বলেন সবার আগে মসজিদের স্বার্থ। আমি ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবার জন্য এবং সন্ত্রাস দমনের জন্য মেয়র হয়েছি। এব্যাপারে আপনাদের সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি।

মাধবদী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব সফি উদ্দীনের সাথে এব্যাপারে বলেন প্রায় ৪০ বছর যাবৎ এ সম্পত্তি সরকারের দখলে আছে। মধাবদী বাজার বড় মসজিদ তা ইজারা নিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করেছে। বর্তমানে এই মার্কেটে ৬০ জন ব্যাবসায়ী কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে আসছে; এবং মসজিদের আয়ের একটা বিরাট অংশ এই দোকানঘরগুলো থেকে আসে। তাছাড়া প্রতি সোমবার এখানে দীর্ঘদিনের পিঁয়াজ মরিচের হাট বসে। পৌরসভা রাজস্ব আদায় করে আসছে। বাজারের শ্রীবৃদ্ধির জন্য জমিদার জনৈক করম আলী এবং সদর আলীর কাছ থেকে এওয়াজ বদল করে নেয় এ জমি। আমার শরীরের এক বিন্দু রক্ত থাকতেও মসজিদের স্বার্থে এ ভূমি কারো দখলে যাবে না।

এ ব্যাপারে মসজিদের সাধারন মুসুল্লিারা বলেন, এ মার্কেট মসজিদের একটা আয়ের উৎস। তাছাড়া এর সাথে সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব জড়িত। জমির মালিকও সরকার তা যে কোন মূল্যে আমরা রক্ষা করবো। প্রয়োজনে মসজিদের জমি রক্ষার্থে জীবন দিয়ে দিবো।

উল্লেখ্য, মাধবদীবাজারস্থ বড়মসজিদের সামনে দীর্ঘ ৭০ শতাংশ ভূমি সরকারি ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত। যা ১৯৫৮ সালে দেওয়ানি মোকদ্দমা নং ২৫ এর রায়ের বলে তৎকালীন জমিদারের উত্তারাধিকারী যথাক্রমে শৈলেন্দ্র কুমার গুপ্Íরায়, বিপদ কুমার গুপ্ত রায় এবং গোপাল কুমার গুপ্ত রায় পিতা সতী প্রসন্ন গুপ্ত রায় সাং মাধবদী এস.এ রেকর্ডভূক্ত মালিকানা পান। যার খতিয়ান নং সাবেক ৪/১২৩ । দাগ নং ৭৬, ৭২, ১১৭,১০৭৫,১১৭,১৭৫ জমির পরিমান ২০০ শতাংশ। যার মধ্যে সাবেক ৭৬ দাগে ৭৯ শতাংশ ভূমি রয়েছে। পরবর্তীতে আর.এস খতিয়ানে ০১০০শতাংশ ভূমি বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি কমিশনার ঢাকার অনুকূলে আসে।

এদিকে সরকার উক্ত ভূমির মালিক এবং দখলদার হয়ে ১৯৭৪ সালে মাধবদী বাজার বড় মসজিদের নামে একসনা ইজারা দিয়েছে। যা বর্তমান বড় মসজিদের দখলে আছে।

কিন্তু ইতোমধ্যে একটি মহল উক্ত ভূমি সি.এস খতিয়ানে ৬৮.৬৬ শতাংশ ভূমি তাদের পূর্বপুরুষগন মালিক বিধায় এর মালিকানা দাবী করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।এরই পেক্ষিতে গত বৃহস্প্রতিবার সাইন বোর্ড টানিয়ে আনোয়ার গং দখল নেওয়ার চেষ্ঠা করে এবং সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেয়। পরে তা প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে পৌর কর্তৃপক্ষ গত ১০ মার্চ উচ্ছেদ করে দেয়।



মন্তব্য চালু নেই