মাদ্রাসা ছাত্রীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসায় পড়ুয়া সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে নির্যাতন করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট একই এলাকায় একইভাবে নির্যাতন করা হয় ওই মাদ্রাসাছাত্রীর সহপাঠীকে। সে ওই নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলার সাক্ষী। আজকের নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার নুরুল আলম ও কামাল গংয়ের সঙ্গে একই এলাকার শাহ আলম গংয়ের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২৭ অক্টোবর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে কামালের মেয়েকে স্থানীয় একটি বাগানে নিয়ে গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে শাহ আলম বাবুলের ছেলে কিরণ, ভুলুসহ স্থানীয় বাসার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এ মামলার প্রধান সাক্ষী ছিল ওই ছাত্রীর সহপাঠী। আজ দুপুরে ওই সহপাঠী নিজের বাড়ি থেকে আহত সহপাঠীকে দেখতে যাওয়ার পথে তার পথরোধ করে কিরণ, ভুলু, তসলিম ও কাজল নামের কয়েকজন সন্ত্রাসী। তারা ওই ছাত্রীকে পাশের একটি সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে এবং মাথায় আঘাত দিয়ে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তার শরীরে ব্লেড দিয়ে কেটে নির্যাতন করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।

এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীকে আহত অবস্থায় বাগানে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ছাড়া তসলিম নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রব জানান, এক ছাত্রী নির্যাতনের মামলার প্রধান সাক্ষী ছিল ওই ছাত্রী। এর জের ধরেই সন্ত্রাসীরা তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই