মাত্র ৫ মিনিটে দূর করুন অস্বস্তিকর বমি ভাবের সমস্যা

বমি বমি ভাব আসা অনেক যন্ত্রণাদায়ক একটি অবস্থা। অনুভূতিটি ঠিক এমন যে বমি করতেও পারছেন না আবার বমি আসার অনুভূতিটা দূর করতেও পাড়ছেন না। এই সময়টায় কিছুই ভালোলাগে না। মারাত্মক অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে রান্নাঘরের কিছু টুকিটাকিই আপনাকে সাহায্য করতে পারে। চলুন তবে দেখে নিই বমি ভাব তাৎক্ষণিক দূর করার ৫ টি ঘরোয়া পদ্ধতি।
আদা

আদা হজমের সমস্যা সমাধানে বেশ ভালো কাজ করে। এটি পাকস্থলীর অপ্রয়োজনীয় নিঃসরণ যা বমি ভাবের জন্য দায়ী তা দূর করে বমি ভাব দূর করে দেয়।
– তাজা আদা কুচি করে নিয়ে লবণ দিয়ে চিবিয়ে খান।
– ২ কাপ পানিতে তাজা আদা কুচি দিয়ে জ্বাল দিন। ১ কাপ পরিমাণ হলে নামিয়ে নিয়ে এতে খুব সামান্য মধু ও লেবুর রস দিয়ে পান করে ফেলুন।
ভাতের পানি

বমি ভাব দূর করতে ভাতের মাড় জাতীয় পানি বেশ উপকারী।
– ১ কাপ চাল দেড় কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন।
– পানি ফুটে উঠলে ১-২ মিনিট রেখে নামিয়ে ছেঁকে পানিটুকু আলাদা করে ফেলুন।
– সামান্য লবণ দিয়ে এই পানি পান করে নিন।
দারুচিনি

দারুচিনিও আদার মতোই অনেক কার্যকরী বমিভাব দূর করার ক্ষেত্রে।
– ২ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ো বা ৩/৪ টুকরো দারুচিনি দিয়ে জ্বাল দিন।
– ১ কাপ পরিমাণ হলে নামিয়ে নিয়ে এতে খুব সামান্য মধু ও লেবুর রস দিয়ে পান করে ফেলুন।
পুদিনা

পুদিনা পাতার অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান পাকস্থলী শান্ত করতে কাজে লাগে। ফলে বমি ভাব দূর হয়ে যায় নিমেষেই।
– পুদিনা পাতা ধুয়ে মুখে পুরে চিবিয়ে রসটুকু খেয়ে ফেলুন। বমিভাব দূর হয়ে যাবে।
– পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে রস বের করে নিন। এর সাথে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন বমি ভাব একেবারেই নেই।
লেবু

লেবু সবচাইতে সহজ এবং বেশ প্রাচীন একটি পদ্ধতি বমিভাব দূর করার জন্য।
– লেবুর রস চিপে নিয়ে এতে ১ চিমটি লবণ মিশিয়ে খানিকক্ষণ পরপর জিহ্বার সামনের অংশ ভিজিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বমিভাব চলে যাবে।



মন্তব্য চালু নেই