‘মাঠ প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ’

গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার কারণে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

রোববার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে ডিসি সম্মেলন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে বিভাগীয় কমিনশার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটি এবং কোর কমিটিকে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শফিউল আলম বলেন, ‘গুলশান হামলা ও শোলাকিয়ার হামলা পর এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের বিশেষভাবে সতর্ক করেছি। কোর কমিটি এবং মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটি যেন আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করা হয় সে বিষয়ে তাদের একাধিক পত্র দিয়ে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকেরা কোর কমিটিতে সভাপতিত্ব করেন। সেখানে পুলিশসহ অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বিভাগ পর্যায়ে কোনো ক্রাইসিস (সমস্যা) দেখা গেলে বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে কোর কমিটির সভা হয়। সেখানে পুলিশের ডিআইজি, মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকা হয়।’

‘জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কোর কমিটির সভায় পুলিশ সুপার (এসপি), আনসার, বিজিবির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কোর কমিটিগুলো যেন দ্রুত অ্যাকটিভেট (সক্রিয়) করা হয়, এটা খুবই কার্যকর মাধ্যম’ বলেন শফিউল আলম।

তিনি জানান, ২০১৩ সাল থেকে সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটি গঠন করা হয়। মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ে গঠিত এই কমিটিতে প্রশাসনের লোকজন ছাড়া স্থানীয় রাজনীতিক, গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন পেশাজীবীকে রাখা হয়েছে।

সরকারির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কারো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না- জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এ মুহূর্তে আমরা বলতে পারছি না, এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বলতে হবে।’



মন্তব্য চালু নেই