ফিটনেসবিহীন গণপরিবহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ এর অভিযান প্রসংগে ক্যাব চট্টগ্রামফিটনেসবিহীন গণপরিবহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ এর অভিযান প্রসংগে ক্যাব চট্টগ্রাম

মাঠে অভিযান পরিচালনার পূর্বে বিআরটিএকে আগে জঞ্জাল মুক্ত করা ও আধুনিকায়ন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত প্রয়োজন

দেশীব্যাপী ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ এর অভিযানের কারনে রাজধানী, ঢাকা ও বানিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম সহ সমগ্র দেশ্ব্যাপী সাধারন জনগন বিশেষ করে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠি অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্ঠের সম্মুখীন হবার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের পুর্বে সড়ক পরিবহন মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে পূর্ব প্রস্তুতি ও বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। একই সাথে যে সমস্ত কারনে সুদীর্ঘকাল ধরে সড়ক ও মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ী চলাচল করতে বাধ্য হয় তার প্রকৃত কারন খতিয়ে দেখা দরকার ছিল এবং গাড়ীর ফিটনেস ও লাইন্সে গ্রহনে বিআরটিএ এর গাফলতি, অনিয়ম, হয়রানি ও দীর্ঘসুত্রিতার অবসানে বিআরটিএকে আরো ঢেলে সাজানোর দাবী করে রাস্ট্রীয় সেবা প্রদানকারী সংস্থা বিশেষ করে হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, পানি, সড়ক পরিবহন, নৌ-পরিবহন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় সেবাপ্রদানকারী সংস্থার পরিচালনায় সত্যিকারের ভোক্তা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত এবং এ সমস্ত সেবা সংস্থাগুলির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন দেশে ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থসংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও নগর কমিটি।
 
ফিটনেস বিহীন গণপরিবহনের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের কারনে দেশব্যাপী সাধারন জনগন ও যাত্রীদের স্বাভাবিক পরিবহনে সৃষ্ঠ জটিলতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্যাব নেতৃবৃন্দ এ বিবৃতিতে বলেন বর্তমান সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিরাপদ সড়ক ও যাত্রী দুর্ঘঠনার হার কমানোর মহতী উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করলেও বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগে এর মধ্যে চলমান অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা দূর না করে, এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে, গাড়ীর মালিক, চালকদেরকে উদ্বুদ্ধ না করে এবং অভিযান চলাকালে যানবাহন সংকট হলে বিকল্প যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা না করে সাধারন জনগনকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে জিম্মি করে এখন গাড়ীর মালিকরা গা ঢাকা দিয়েছে। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। 
 
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন দেশে ভোক্তাদের হয়রানি ও প্রতারনা রোধে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় জনগনের দুভোর্গ লাগবে তারা কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনে সক্ষম হচ্ছে না। আর সেবাপ্রদানকারী সংস্থায় ভোক্তা ও জনগনের প্রতিনিধিত্বের নামে এমন কতগুলো লোকজনকে অর্ন্তভুক্ত করা হচ্ছে যাদের সাথে সাধারন জনগনের কোন সংযোগ নেই। আর সে কারনে আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি, ওয়াসা, সিডিএ ও মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বুপুর্ন সেবা প্রতিষ্ঠান গুলো কার্যত জনগনের কোন সমস্যা লাগবে কোন ভুমিকা রাখতে পারছে না। অধিকন্তু সাধারন জনগনের জন্য নতুন নতুন সমস্যা তৈরী করছে। যার দায়ভার গিয়ে পড়ছে সরকারের জনপ্রিয়তার উপর।
 
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন  সরকারের বিশেষ বিশেষ শ্রেনীকে সুবিধা প্রদানের জন্য বিশেষ বিশেষ বিধান তৈরী করলেও ১৬ কোটি ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষনে কোন মন্ত্রনালয় অদ্যবদি প্রতিষ্ঠা করেনি। ফলে বানিজ্য মন্ত্রনালয় ব্যবসায়ী, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় চিকিৎসক, সড়ক পরিবহন মন্ত্রনালয় পরিবহন মালিকদের তোষন করছে, কিন্তু সাধারন জনগনের স্বার্থ দেখার জন্য কোন কর্তৃপক্ষ নেই। যার কারনে প্রতিটি পদে পদে জনগন প্রতারিত, বঞ্চিত ও নিগৃহিত হচ্ছে। অন্যদিকে এগুলো দেখার দায়িত্ব যাদের সেই আইন প্রয়োগকারী ও রেগুলেটরী প্রতিষ্ঠানগুলি দিবা স্বপ্নে বিভোর।
 
নেতৃব্ন্দৃ আরো বলেন ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ক্যাব যাত্রী ও ভোক্তা স্বার্থ সংস্লিষ্ঠ সকল মন্ত্রনালয় ও বিভাগে প্রতিনিধিত্ব করলেও আঞ্চলিক পরিবহন কমিটিতে এর কোন অস্থিত্বও নেই। অন্যদিকে বিআরটিএ, ট্রাফিক কর্তৃপক্ষকে বারংবার তাগাদা দেবার পরও তারা ভোক্তাদের ভোগান্তি, হয়রানি ও অনিয়মের কথা শুনার সময় পাচ্ছে না। যার কারনে বিআরটিএ গাড়ী চালক, মালিক ও ভোক্তাদের কাছে কাংখিত সেবা নিশ্চিত পৌঁছাতে পারেনি। তাই অবিলম্বে বিআরটিএতে হয়রানি, ভোগান্তি ও অনিয়ম রোধে তাক্ষনিক প্রতিকারের ডিজিটেল গ্রাহক সেবা কেন্দ্র (প্রয়োজনে প্রতিকার না পেলে চেয়ারম্যান, সচিব, মন্ত্রীকে অবহিত করা যায় এমন ব্যবস্থা), বর্তমান লাইসেন্স প্রদান ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও ঢেলে সাজানো, বিআরটিএ এর অভ্যন্তরে লাইসেন্স ও ফিটনেস প্রদানে অনিয়ম, জটিলতা বন্ধে কার্যকর নজরদারী প্রতিষ্ঠা, লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া সহজলভ্য করা, গ্রাহক সেবার অনিয়ম রোধে তাৎক্ষনিক গ্রাহক সেবা কেন্দ্র/হেলপ লাইন চালু, হয়রানি বন্ধে  কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন, সিদ্ধান্ত প্রদানে সক্ষম ও যোগ্য প্রতিনিধিকে নিয়ে অন্তত মাসে ১দিন গণশুনানীর আয়োজন করে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন, বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগের কার্যক্রম জনসমক্ষে প্রকাশ এবং আঞ্চলিক পরিবহন কমিটিকে সত্যিকার অর্থৈ একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিনত করার জন্য সত্যিকারের যাত্রী/ভোক্তা প্রতিনিধ অর্ন্তভ্ক্তু করা, সড়ক পরিবহন সেবা ও ব্যবস্থাপনায় নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে ভোক্তা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবী জানান।
 
বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেন তারা হলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটি সদস্য এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু প্রমুখ।

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেন তারা হলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটি সদস্য এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু প্রমুখ।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি



মন্তব্য চালু নেই