মাগুরায় বিনা’র নতুন জাতের ধান নিয়ে মাঠ দিবস

মাগুরা প্রতিনিধি ॥ শতকরা ২৫ ভাগ অধিক ফলন, ২৫ ভাগ সার-সেচ খরচ কমাতে স্বক্ষম বাংলাদেশ কৃষি পরমানু গবেষণা ইনষ্টিটিউট-বিনা উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান বিনা-১৭ ও অন্যান্য উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের সম্প্রসারন নিয়ে গতকাল শুক্রবার কৃষক মাঠ দিবস হয়েছে মাগুরার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে।

বিনা মাগুরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শম্পা রাণী ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ডের পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনা’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইমদাদুল হক, মাহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রকৌশলী জয়দেব সাহা ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা জানান, অন্যান্য জাতের তুলনায় ২৫ ভাগ বেশী ফলন, সার ও সেচ খরচ শতকরা ৩০ ভাগ কমাতে স্বক্ষম হওয়ায় মাগুরাসহ বিভিন্ন বিনা উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান বিনা-১৭ চাষাবাদে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

২০১৫ সালে জাতীয় বীজ বোর্ডের অনুমোদন পাওয়া বিনা ধান-১৭ জাতটি চাষ করে হেক্টর প্রতি ৭ থেকে ৮ টন ফলন পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্যান্য জাতের তুলনায় এটি চাষে সার ও সেচের খরচ কমেছে ৩০ ভাগ। পাশাপাশি এটি পাতা পোড়া, খোল পচা রোগ নিজেই প্রতিরোধ করতে পারে। অন্যদিকে জাতটির জীবনকাল ১১২ থেকে ১১৮ দিন হওয়ায় উৎপাদন খরচ যেমন কম তেমনি কৃষকরা তাদের মাঠে প্রতি বছর ৪টি ফসল আবাদের সুযোগ পাবে। প্রায় একই ধরনের গুনাগুন থাকার কারণে বিনা-৭,বিনা-১৫,বিনা-১৬ জাতের ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।



মন্তব্য চালু নেই