মাগুরার মহম্মদপুরে ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মাগুরা প্রতিনিধিঃ লাখো দর্শকের সমাগমে মাগুরার মহম্মদপুর মধুমতি নদীতে নির্মিতব্য এলাংখালি শেখ হাসিনা ব্রীজের নিচে নেচে-গেয়ে আনন্দ-উচ্ছাসে বুধবারঅনুষ্ঠিত হয়েছে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। বাইচালদের বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ ছন্দে নদীর শান্ত জলধারা অনেক দিন পর আবার যেন প্রাণ ফিরে পেল।

প্রাণআপ-বিহারীলাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা ২০১৬ আয়োজন করে মহম্মদপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরা -২ আসনের সাংসদ ও যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার।
নৌকা বাইচ দেখতে মহম্মদপুর উপজেলা সদরের মধুমতি নদীর দুই তীরে মানুষের ঢল নামে। নদীর দুই পাড় মিলন মেলায় পরিণত হয়। হাজার হাজার নারী পুরুষ ও শিশুরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাইচ উপভোগ করেন। ছোট বড় বিভিন্ন আকারের ট্রলার, নৌকায় চড়ে দর্শনার্থীরা এ নৌকা বাইচ উপভোগ করেন। নৌকাবাইচ উপলক্ষে নদী তীরে বসে গ্রামীণ মেলা।

নদীর দুইধারে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে এমনকি গাছে চড়েও নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ নানা বয়সের দর্শনার্থীরা নৌকা বাইচ উপভোগ করেন। গোপালনগর ঘাট থেকে শুরু হয়ে থানা ঘাট এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় নদীর দুপাড়ে কমপক্ষে ১লাখ দর্শক উপভোগ করেন মনমুগ্ধকর এ নৌকা বাইচ।

আয়োজকরা জানান, এক সময় মধুমতি নদীতে প্রচুর পানি থাকতো। সে সময় এখানে নিয়মিত নৌকা বাইচ হতো। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে প্রায় এখানে নৌকা বাইচ নিয়মিত হয় না। গত বছর থেকে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এ নৌকা বাইচের আয়োজন করেছি।

নৌকা বাইচ শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বিএনএস গ্রুপ অফ কোম্পানীজের পরিচালক আনোয়ারুল কবির।
নদীর মাঝে নৌকায় চড়ে গ্রামীণ সাজে সারি গান পরিবেশনা ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ।

নৌকা বাইচে নড়াইলের হারুন মোল্লাার নৌকা প্রথম স্থান ও ফরিদেপুরের আলফাডাঙ্গার মোকলেস মোল্লার নৌকা দ্বিতীয় ও গোপালগঞ্জের হারনি মাঝির নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করে। তাদের যথাক্রমে ৩০ হাজার ২০ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই