মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে মা-মেয়েকে নির্যাতন !

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার এক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে গৃহকর্মী ও তার মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারিহা আক্তার পারুলের বাড়ি থেকে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। তাঁরা হলেন- সদর উপজেলার মহেশখিল গ্রামের জোছনা বেগম (৪৫) ও তাঁর মেয়ে মিনু আক্তার (২৫)।

উদ্ধার হওয়া গৃহকর্মী জোছনা বেগম অভিযোগ করেন, তিনি অনেকদিন ধরে ফারিহা আক্তার পারুলের বাসায় কাজ করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর স্বামী কামরুল হাসান রুবেলের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। দুদিন আগে রুবেল তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান। এ অবস্থায় বুধবার রাতে রুবেল তাঁর ঘরে, গোলাম মাওলা ও মো. রাজুকে নিয়ে মাদকের আড্ডায় বসেন। এ সময় মাদক শেষ হয়ে গেলে তাঁর ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. জসিম উদ্দিনকে রুবেল মাদক আনতে বলেন। জসিম তাঁর কথা না শুনে চলে যান। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল তাঁর সহযোগীদের নিয়ে বুধবার রাত ৩টার দিকে জোছনা বেগম ও মিনু আক্তারকে বাড়ি থেকে তুলে আনেন। এরপর তাঁদের আটকে রেখে মারধর করা হয়।

খবর পেয়ে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে রুবেলের ঘর থেকে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল জানান, তাঁর ঘর থেকে জোছনা বেগমের ছেলে জসিম ১৮ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। এ জন্য তাঁর মা ও বোনকে বাড়িতে জিজ্ঞেস করার জন্য আনা হয়েছে। তাঁদের কোনো মারধর করা হয়নি। রাজনীতি করার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ফারিহা আক্তার পারুল জানান, দুদিন আগে তিনি বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাড়িতে এসেছেন। এ ব্যাপারে কিছু শোনেননি।

এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।



মন্তব্য চালু নেই