মহিলা চিকিৎসকদের হোস্টেলে বহিরাগতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

একটি দেহকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে শুক্রবার সাতসকালেই আতঙ্ক ছড়ায় এস এস কে এম হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকদের হস্টেলে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঝুলন্ত দেহটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই হস্টেলের আবাসিক চিকিত্সক ও তাঁদের আত্নীয়দের একাংশ। এক আবাসিক চিকিত্সক বলেন, ‘‘এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসে মৃত কোরপান শাহের ঘটনা মনে পড়ে গিয়েছিল। সে কারণেই সকলে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন।’’

পরে মৃতের পরিচয় জানা যায়। ভবানীপুর থানার পুলিশ জানায়, মৃত সুশীল ওঁরাও (৩৫) জলপাইগুড়ির মালবাজারের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। এস এস কে এমে চিকিত্সাধীন এক রোগীর আত্মীয় সুশীল। আত্মীয়ের চিকিত্সা করাতে এসে কেন হঠাৎ তিনি আত্মহত্যা করলেন, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে এদিন জানানো হয়, মৃত্যুর কারণ জানতে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, এদিন সকালে এক আবাসিক চিকিত্সকের চিত্কারে অনেকেরই ঘুম ভেঙে যায়। কয়েকজন চারতলার করিডরের শেষ প্রান্তে গিয়ে দেখেন, কোলাপসিবল গেট থেকে গলায় তার জড়িয়ে ঝুলছে একটি দেহ (সুশীলের)। পুলিশ এসে দেহটি নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতের পোশাক থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হাসপাতালের এক আধিকারিক এদিন বলেন, কর্তৃপক্ষের তরফে ওই হস্টেলের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে একটি মহিলা হস্টেলের ভিতর ঢুকে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি এবং কীভাবেই বা তিনি সকলের চোখ এড়িয়ে চারতলায় ওঠেন, তা দেখার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই