মহাদেবপুরে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ মুনিরা আক্তার

নওগাঁর মহাদেবপুরে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ মুনিরা আক্তার (২০)। উপজেলার সর্মইল গ্রামের দরিদ্র রসুলের স্ত্রী অসহায় পরিবারের ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মুনিরা আক্তার সম্পতি সন্তার প্রসবের জন্য বেশ কিছুদিন পূর্বে তার পিতা মোছাদ্দেক হোসেনের বাড়ি মহাদেবপুর উপজেলার বাগধানা গ্রামে আসেন।

গত শনিবার ১১ এপ্রিল সকাল টায় অভাবী পিতার সংসারে চুলায় রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয় মুনিরা। এসময় জীবন বাঁচাতে মুনিরা বাড়ি থেকে দৌঁড়ে বেরিয়ে এসে পুকুরের পানিতে ঝাঁপ দেন। মুনিরার মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এলে দগ্ধ অবস্থায় মুনিরা আক্তারকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকের কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে দেয়।

ওই দিনই মুনিরার দরিদ্র পিতা পিতা মোছাদ্দেক তার একমাত্র সম্বল একটি বোকনা গরু ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।কিন্তু মাত্র দু’দিনেই চিকিৎসা ও রাজশাহীতে যাতায়াত করতে সামান্য ও টাকা শেষ হলে ভর্তির মাত্র একদিন পর গত রবিবার দুপুরে মেডিকেল বার্ণ ইউনিট থেকে মুনিরাকে পিতার বাড়িতে নিয়ে এসে হাসপাতালের বেডের পরিবর্তে তার পিতার বাড়ির বারান্দায় কচু পাতার বিছানায় রেখে স্থানীয়ভাবে কবিরাজি চিকিৎসা করান তার পরিবার।

ঘটনাটি জানতে পেরে সাংবাদিকরা অসহায় পরিবারের গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ মুনিরার ছবিসহ বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায়সহ টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ করেন।

সংবাদ প্রকাশের পর নওগাঁ জেলা প্রশাসকের নিদের্শে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুর রহমান গত বুধবার বিকেলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মুলতান হোসেনের মাধ্যমে অগ্নিদগ্ধ মুনিরার মা খাইরন বিবির হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা দেন। ওই দিন রাত ৯ টার দিকে মুনিরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।



মন্তব্য চালু নেই