মহাকাশ কেন্দ্রে রসদ নিয়ে যাচ্ছে সিগনাস

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে রসদ পাঠানোর জন্য মার্কিন মহাকাশযান প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘অরবিটাল এটিকে’ তৈরি আরেকটি রসদ সরবরাহকারী মহাকাশযান। এটি এযাবতকালের সবচেয়ে বেশি রসদ বহনকারী মহাকাশযান। এই মহাকাশযানের নাম সিগনাস।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম সিগনাস মহাকাশযান রসদ বোঝাই করে প্রথম পাঠানো হয়েছিল মহাকাশ কেন্দ্রে। এবারের নতুন নকশা করা সিগনাস যানটি আগেরবারের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি মাল পরিবহনে সক্ষম এবং এর ওজন হবে প্রায় ৪ টন।

অরবিটাল কোম্পানির সাবেক মহাকাশচারী ড্যান টানি বলেছেন, বাক্স খোলার পর মহাকাশ কেন্দ্রের নভোচারীরা এমন কিছু জিনিসের দেখা পাবেন যা তারা মনে মনে চাইছিলেন, কিন্তু কিছুতেই পাওয়ার আশা করছিলেন না।

রসদ বহন করার পাশাপাশি নতুন সিগনাসে থাকবে ‘মেড ইন স্পেস’ কোম্পানির তৈরি একটি থ্রিডি প্রিন্টার, দুই ডজন ন্যানো স্যাটেলাইট এবং স্যাফায়ার। মহাশূন্যে আগুনের প্রভাব পরীক্ষা করার জন্যই স্যাফায়ার যন্ত্রটি পাঠানো হচ্ছে।

মহাকাশ কেন্দ্রে সমস্ত মালামাল নামানোর পর স্যাফায়ার দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করা হবে। মহাশূন্যে আগুন একটা বিশাল সমস্যা। পৃথিবীতে আগুন যেভাবে জ্বলে, মহাশূন্যে সেভাবে জ্বলে না। নাসা অনেকদিন থেকেই মহাশূন্যে আগুন জ্বালানো নিয়ে পরীক্ষা করে আসছে। তাদের এবারের উদ্দেশ্য হচ্ছে, শুন্য মহাকর্ষ বলে নিরাপদভাবে কিভাবে আগুন উৎপন্ন হয় সেটা দেখা।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সিগনাস আজকেই উড়াল দেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে। মার্চের ২৬ তারিখে নোঙ্গর করবে মহাকাশ কেন্দ্রে। এর পরপরই স্যাফায়ার পরীক্ষা শুরু হবে, তবে নাসা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানায় নি। পরীক্ষা শেষে ৭ দিন পর্যন্ত সিগনাস পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবে কেন্দ্রের সাথে সাথে। নভোচারীরা তাদের সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর যথারীতি পৃথিবীতে ফেরত পাঠাবে সিগনাসকে।



মন্তব্য চালু নেই