মমতার সফরে সম্পর্ক আরো গভীর হবে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি সপ্তাহে ঢাকা সফরে আসছেন। মমতার এই সফরের মাধ্যমে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক আরো গভীর এবং তিস্তাসহ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কাঙ্খিত সমাধানে পৌঁছাও সহজ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রবিবার দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন। ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক অনেক প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। দুই দেশই বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের ভাষা হচ্ছে বাংলা। আর বাংলা এখন আন্তর্জাতিক ভাষা। এইদিক দিয়েও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক প্রাচীন। ভাষার মাসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর ঢাকা-দিল্লির মধ্যে চলমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে আরো গভীর করবে।’

শাহরিয়ার আলম আরো বলেন, ‘সীমান্ত চুক্তি, তিস্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চুক্তি হওয়ার বিষয়টি ঝুলে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনের সফরে এই চুক্তিগুলো সম্পন্ন হতে গতি আসবে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিস্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে একাধিকবার আলাপ হয়েছে। ওই আলাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তাসহ বিভিন্ন চুক্তি ও দুই দেশের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার একাধিকবার আলাপ হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিগগিরই তিস্তা চুক্তি হবে। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, ভারত কোনো বিষয়ে কথা দিলে তা রাখে।’

সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের রাজ্যসভার এমপি আহমদ হাসান ইমরান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সফরসঙ্গী হয়ে ঢাকা আসছেন কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘না, আমরা মমতার সফরসঙ্গীর তালিকা পেয়েছি। ওই তালিকায় এমন কোনো নাম পাইনি।’

জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঢাকায় আসবেন। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান শেষে ওইদিন রাতেই তিনি কলকাতায় ফিরবেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের আগের সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় ও তিস্তা চুক্তিতে বাধা দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু দেশটির সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতাও তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই