মমতার রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া ছাপোষা এই মানুষটি কে?

ভাঙড়ের আন্দোলনে দলীয় নেতৃত্বের ব্যর্থতা ছেড়ে বহিরাগত ও মাওবাদীদেরই দায়ী করছে প্রশাসন থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব। বহিরাগতরাই গ্রামবাসীদের উস্কানি দিয়েছে বলেই অভিযোগ। তার জন্যই আন্দোলন হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে।

এই ‘বহিরাগত’-রা কারা? তৃণমূল নেতারা দাবি করছেন, অতিবাম নেতারা ও যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাই রয়েছে এই হিংসার নেতৃত্বে। এই আন্দোলনেরই নেতা অলীক চক্রবর্তী। সিপিআইএমএল রেড স্টার সংগঠনের তরফে তিনিই তাঁর কমরেডদের নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে ভাঙড়ে পড়ে থেকে গ্রামবাসীদের সংগঠিত করেছেন। জমি, জীবিকা, পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির ব্যানারে আন্দোলন চালাতে থাকেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম কেড়েছেন অলীক।

কিন্তু অলীকের প্রথম আপত্তি ‘বহিরাগত’ শব্দটি নিয়েই। তিনি এবেলা.ইন-কে বলেন, ‘বহিরাগত শব্দটিই অসাংবিধানিক। আমরা কী দেশের নাগরিক নই? জনগণের কষ্টের সময় আমরা তাঁদের পাশে থাকতে পারব না? ভাঙড়ের কৃষকদের পাশে দাঁড়াতেই আমরা ওখানে গিয়েছিলাম। আমরা ওঁদের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’

অলীকের দাবি, সরকারই ভাঙড়ের পরিস্থিতি খুঁচিয়ে অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে। আন্দোলনের স্থানীয় নেতা কালু শেখকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়াতেই গ্রামবাসীরা খেপে যায়। অলীকের বক্তব্য, ‘শুধু জমি সমস্যা বা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতায় তো আন্দোলন এত বড় হয়ে গেল না। পুলিশ কালু শেখকে তুলে নিয়ে না গেলে, রাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মহিলা-পুরুষদের উপর হামলা না চালালে এরকম পরিস্থিতি হত না।’

সব দায় আরাবুলের দুষ্কৃতিবাহিনী ও পুলিশের উপরেই চাপাচ্ছেন আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা। প্রশাসন সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বহিরাগতদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করতে। সেই প্রসঙ্গেই অলীক জানিয়ে দেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এই সব হুমকি দেওয়া বন্ধ করুন। দোষীদের শাস্তি দিন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের বাড়ি ফিরিয়ে দিন। অলীক চক্রবর্তীকে খুঁজতে ভাঙড় যেতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে যেখানে বলবেন সেখানে পৌঁছে যাব।’



মন্তব্য চালু নেই