মমতাকে ইলিশ উপহার হাসিনার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মমতার জন্য উপহার হিসাবে পাঠিয়েছেন ২০ কেজি পদ্মার ইলিশ! আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পৌঁছবে সেই উপহার।খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

খবরে বলা হয়, শুক্রবার রেড রোডে মমতার শপথে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকতে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে পাঠাচ্ছেন হাসিনা। অনুষ্ঠানে থাকবেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদও।

এক কূটনীতিকের ব্যাখ্যা, ‘একই সঙ্গে পদ্মার ইলিশ আর শিল্পমন্ত্রীকে পাঠিয়ে হাসিনা কলকাতা-ঢাকা সৌহার্দ্য এবং বিকাশের বার্তাই দিতে চাইছেন।’

আর জকি আহাদের কথায়, ‘দিদির ইতিবাচক ভূমিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে বলেই বিশ্বাস।’

খবরে আরও বলা হয়, এই বিশ্বাসে ভর করেই ঢাকা যে নতুন করে মমতার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছে, তার প্রমাণ এই ইলিশ-কূটনীতি। এর আগেও হাসিনার পাঠানো ইলিশ কলকাতার বিশিষ্টদের কাছে এসেছে। কিন্তু ২০ কেজি ইলিশের উপহার-বাক্স এসেছে বলে মনে করতে পারছেন না কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্তারা। আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে হাসিনার উপহার কলকাতায় পৌঁছবে। উপ-দূতাবাসের প্রতিনিধিরা তা নিয়ে যাবেন মমতার বাড়িতে। তবে আজ রাতেই নাকি শপথের দিন সকালে, তা চূড়ান্ত হয়নি। একটি সূত্রের মতে, শপথের সকালেই ইলিশ পৌঁছানোর সম্ভাবনা বেশি।

আনন্দবাজারের মন্তব্য, ২০১১-এর সেপ্টেম্বরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আপত্তি তুলে মনমোহন সিংহের সঙ্গে তার বাংলাদেশ সফর বাতিল করেন মমতা। আটকে যায় তিস্তা চুক্তি। ফলে মমতার প্রতি অসন্তুষ্টও হয় বাংলাদেশের একাংশ। কিন্তু গত বছর জুনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঢাকা গিয়ে সেই ক্ষত অনেকটা মেরামত করে ফেলেন মমতা।

তবে সেই সফরেই মমতা যখন রাজ্যে পদ্মার ইলিশ পাঠানোর পথ সুগম করতে অনুরোধ করেছিলেন, তখনই পাল্টা পানির দাবি তুলেছিল বাংলাদেশ। তিস্তা সমস্যা এখনও মেটেনি। তবে আস্থা আর বিশ্বাসে ভর করেই সেই দাবি মিটবে বলে আশা করছে ঢাকা।

ভারতের এক প্রাক্তন কূটনীতিকের কথায়, ‘দিদিকে ইলিশ পাঠিয়ে আসলে তিস্তার জলের কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন হাসিনা।’



মন্তব্য চালু নেই