মন্দির ভাঙচুরেও সরকার নিরব

ধর্ম অবমাননার কল্পিত অজুহাত সৃষ্টি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মঠ-মন্দির ভাঙচুর, হিন্দু বাড়ি-ঘরে হামলা ও নারী অপহরণ চলছে। অথচ সরকার নিরব ভূমিকা পালন করছে। সরকারের এ নিরব ভূমিকা হিন্দুদের আরও আতঙ্কিত করে তুলেছে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ঢাকার স্বামীবাগে ঐতিহ্যবাহী ইসকন মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মঠ-মন্দির ভাঙচুর, হিন্দু বাড়ি-ঘরে হামলা, লুটপাট, নির্যাতন, জমি দখল, নারী অপহরণ ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে’ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, হিন্দু যুব মহাজোট ও হিন্দু ছাত্র মহাজোটের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ অভিযোগ করেন বক্তারা।
কর্মসূচি চলাকালীন তারা দশ মিনিট রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। এতে বাস চলাচল বন্ধ থাকে।
এসময় যুব নেতা কিশোর বর্মন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আগামীকাল শনিবার তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মন্দির পুননির্মাণসহ হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়ে স্মারকলিপি দিবেন। প্রধানমন্ত্রী স্মারকলিপি আমলে না নিলে দশ মিনিটের এ অবস্থান কর্মসূচি দশ দিনের আন্দোলনে রুপ নিবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, দুষ্কৃতিকারীদের শাস্তি না হওয়ায় একের পর এক এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। তাই দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় হিন্দু নির্যাতনের কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। তাই হিন্দু নির্যাতন বন্ধ ও দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার স্বার্থে জাতীয় সংসদের ৫০টি আসন সংরক্ষিত করে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনপ্রতিষ্ঠার দাবি জানান তারা। এছাড়া সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সকল প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বিশ শতাংশ কোটা রাখার দাবিও জানান ব্ক্তারা।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি মনোজ কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য দেন- হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, যুগ্ম মহাসচিব মানিক চন্দ্র সরকার, ডা. মৃত্যুঞ্জয় রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল ব্শ্বিাস প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই