মন্দিরে যাওয়ার সময়ে এই ৫ ব্যক্তির দেখা পেলে সাবধান

হিন্দু উপাসনা পদ্ধতি বা পূজার প্রাথমিক শর্তই হল শুদ্ধ চিত্ত। মালিন্যহীন পোশাক, পরিচ্ছন্ন দেহের চাইতেও চিত্তশুদ্ধির উপরে বিপুল পরিমাণে জোর দেয় যে কোনও হিন্দু শাস্ত্র। কিন্তু এই প্রশ্নও শাস্ত্রকে রাখতে হয়েছে যে, কী কী কারণে চিত্তে কলুষ প্রবেশ করতে পারে। এই তালিকাটি বেশ দীর্ঘ। তার মধ্যে আবার একটি বিশেষ দিককে গুরুত্ব দিয়েছে শাস্ত্র। এটি হল এই— এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁদের সংস্পর্শ মনকে কলুষিত করতে পারে। কারা তাঁরা? দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে—

• মন্দির গমনই হোক অথবা নিজের বাড়িতেই পূজা, সবার আগে যে ব্যক্তির ছায়া এড়িয়ে চলা উচিত, তিনি একজন নাস্তিক। ঈশ্বরে অবিশ্বাসী ব্যক্তি তাঁর হৃদয়ে যে বিশ্বাসকে লালন করেন, তা শাস্ত্রমতে নেগেটিভ এনার্জির জন্ম দেয়। তাঁর সংস্পর্শের মানুষজন সেই নেতিবাচক শক্তির দ্বারা জারিত হয়ে পড়েন। ফলে চিত্তবিক্ষেপ অনিবার্য হয়ে পড়ে। নাস্তিক্যের প্রভাবে পূজা পণ্ড হয়।

• যে ব্যক্তি ক্রমাগত আক্ষেপ করে বা নালিশ জানায়, তাকে মন্দিরে যাওয়ার পথে এড়িয়ে যাওয়াই উচিত। মনে রাখতে হবে, পূজা কোনো হেতু বা কারণ থেকে উৎসৃত হতে পারে না। এটি একেবারেই একটি স্বোৎসারিত ক্রিয়া। আপনাকে কেউ পূজা করতে বাধ্য করতে পারেন না। তেমনই একজন অসন্তুষ্ট, অভিযোগপরায়ণ মানুষ আপনার উপাসনাকে বিব্রত করতে পারে। আপনার চিন্তার একাগ্রতাকে বিনষ্ট করতে পারে।

• লোভী ব্যক্তির সংস্পর্শও নেগেটিভ এনার্জির জন্ম দেয়। তার অন্তরে সুপ্ত থাকা লোভ মন্দিরগামী ব্যক্তির চিত্তের শুদ্ধতাকে বিনষ্ট করে দিতে পারে।

• মন্দির যাওয়ার পথে ঈর্ষাকাতর কোনও ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়াটা কাঙ্ক্ষিত নয়। এক্ষেত্রেও নেগেটিভ এনার্জি শুদ্ধ চিত্তকে কলুষিত করতে পারে।

• মন্দির গমনের কালে স্বভাবক্রোধী মানুষকে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এমন ব্যক্তির অন্তরের ক্রোধ আপনার মধ্যে নেতিবাচক মনোভাবের জন্ম দিতে বাধ্য। সেক্ষেত্রে আপনার উপাসনা অবধারিত ভাবে ব্যর্থ হবে।



মন্তব্য চালু নেই