মন্দিরে বোমা: জেএমবি সদস্য শরিফুলের স্বীকারোক্তি

দিনাজপুরের কাহারোলে ইসকন মন্দিরে বোমা হামলায আটক জেএমবি সদস্য শরিফুল ইসলাম এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন।

শরিফুল ইসলামকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে শনিবার সন্ধ্যায় হাজির করলে বিচারক নাজমুল হোসেনের কাছে স্বীকারোক্তি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক বজলুর রশিদ আজ রবিবার সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, দিনাজপুরের কাহারোলে ইসকন মন্দিরে বোমা হামলায় আটক শরিফুল ইসলামকে তিন দফা রিমান্ডে নেয়ার পর তিনি এ ঘটনায় জড়িত থাকাসহ বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তিনি জেএমবির একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডার।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায জড়িত বাকি আসামিদের ধরার অভিযান চলছে। ঘটনার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আটক শরিফুল ইসলামের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়।

দিনাজপুরের কাহারোলে ধর্মীয় সভা চলাকালীলে গত ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় ইস্কন মন্দিরে বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন মিঠুন (২৩) ও রঞ্জিত (৪৫) নামে দুইজন। এ সময় উপস্থিত লোকজন একটি মোটর সাইকেলসহ শরিফুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করতে সক্ষম হন।

অপরদিকে শুক্রবার সকালে এক দুর্বৃত্তকে বন থেকে আটকের সময় ওই দুর্বৃত্তের গুলিতে রফিক নামে স্থানীয় আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। আটক দুর্বৃত্ত মোসাব্বির আলম খন্দকারের (২২) কাছে ৩৩ রাউন্ড গুলি ও এসএমজি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। তাকে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। মোসাব্বির আলম খন্দকার বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়।



মন্তব্য চালু নেই