মন্ত্রী হচ্ছেন সুচি

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের প্রধান অং সান সুচিকে মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন। তবে তিনি কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। সম্ভবত তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার পার্লামেন্ট স্পিকারের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, স্থানীয় ‘মিয়ানমার টাইমস’ বলছে, মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও মঙ্গলবার সকালে পার্লামেন্টে নতুন মন্ত্রিসভার জন্য ১৮ সদস্যের যে তালিকা পাঠিয়েছেন, তার শীর্ষে রয়েছেন সুচি। ওই তালিকার মন্ত্রী হিসেবে যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে সুচিই হচ্ছেন একমাত্র নারী। তবে তিনি কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি পত্রিকাটি। তাদের ধারণা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেই তিনি তার যোগ্যতার সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন। পত্রিকাটি আরো জানিয়েছে, সুচির হাতে একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার দেয়া হতে পারে।

তবে মন্ত্রী হলে সাংবিধানিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তিনি আর দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। মিয়ানমারের সংবিধানে (২৩২-কে ধারা) মন্ত্রীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে রয়টার্স বলছে, চারটি মন্ত্রণালয়ের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সুচির নাম প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও। এগুলো হচ্ছে: প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বিষয়ক মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী। তিনি এর যে কোনো একটি বেছে নিতে পারেন।

গত নভেম্বরের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছিল সুচির দল এনএলডি। কিন্তু স্বামী ও দুই ছেলে বিদেশী পাসপোর্টধারী হওয়ায় সুচি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। অবশ্য নির্বাচনের পর তিনি প্রেসিডেন্টের ওপরে থেকে সরকার পরিচালনার কথা বলেছিলেন। যদিও বিষয়টি তিনি খোলসা করেননি।

মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকার আগামী মাসে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই