মন্ত্রী-সচিব সৎ হলে ৫০ শতাংশ দুর্নীতি কমবে

মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব সৎ হলে ৫০ শতাংশ দুর্নীতি কমে যাবে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সস্টিটিউটে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যোগাযোগ দৃশ্যমান ক্ষেত্রে অগ্রগতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে কোন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব সৎ হলে ৫০ শতাংশ দুর্নীতি এমনিতে কমে যাবে। আমার মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি অনেক কমে গেছে। এখন মানুষ মিরপুরের বিআরটিসিতে খুব এটা হয়রানির সম্মুখীন হয় না। তবে এটা ঠিক জেলা অফিসগুলোতে মানুষকে এখনো বিভিন্ন কাজের জন্য হয়রানির শিকার হতে হয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাস্তার পাশে ফুটপাতের ভাসমান দোকান ও অবৈধ গাড়ি পাকিং কেন উঠানো যাচ্ছে না তা সবাই জানতে চায়। আমি অনেকবার চেষ্টা করেও তা উচ্ছেদ করতে পারি নাই। এর কারণ একটাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। তাদের কারণে এসব অবৈধ ফুটপাতের দোকান ও গাড়ি পাকিং উঠানো যায় না।’ এজন্য দলীয়ভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলো উচ্ছেদ করলে এই ছিন্নমূল মানুষগুলোর আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাবে। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভোট বন্ধ হয়ে যাবে বলে তারা উঠাতে পারে না। এছাড়া কমিশনের কারণেও তারা তা উচ্ছেদ করতে দেয় না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশের হাইওয়ে রোডের দুর্ঘটনার মূল কারণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নছিমন-করিমন ও ইজি বাইক। তাদের কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমি মন্ত্রী হয়ে তাদের নিষেধ করে আসি। আর স্থানীয় নেতা বা জনপ্রতিনিধিরা তাদের উৎসাহিত করে। কারণ এখান থেকে তারা কমিশন পায়।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘আমি এক জায়গায় খুব দুর্বল, সেটা হলো সড়ক পরিবহন। এখনো বেপরোয়া গাড়ি চালক, আনফিট গাড়ি, অসচেতনযাত্রী রয়ে গেছে। অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ভিআইপিরা রাস্তার রঙ সাইড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যায়। এটা যখন সাধারণ মানুষ দেখে তখন তারা কি শিখবে? আগে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। তারপর জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে। তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে।’
সড়ক পরিবহনের উন্নয়নের দৃশ্যমান অগ্রগতি সম্পর্কে বলেন, ‘জুনের মধ্যে ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে। কারণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের কাজ সমাপ্ত হবে। আমরা সেভাবে কাজ করছি। এছাড়া, মে মাসের মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহের হাইওয়ের কাজ শেষ হবে।২০১৯ সালের মধ্যে ঢাকার মেট্টো রেলের কাজ শেষ হবে। তখন মাত্র ৩৭ মিনিটের মধ্যে উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পৌঁছানো যাবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য সুজিত রায় নন্দী, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সস্পাদক আবদুল হক সবুজ, ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই