মন্ত্রিত্ব হারালেই অপরাধ বেরিয়ে আসে

‘মন্ত্রিত্ব হারালেই মন্ত্রীদের অপরাধের তথ্য বেরিয়ে আসে। মন্ত্রী পদে থাকাকালীন তাদের অপরাধের খবর কেউ জানতে পারে না। পদ চলে গেলেই একে একে সব অন্যায়, অসঙ্গতির খবর পাওয়া যায়।’

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন। বেসরকারি সংস্থা অক্সফাম ‘খাদ্য নিরাপত্তা অধিকার বিষয়ে গণশুনানি’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করে।

সদ্য সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গে ড. মিজানুর বলেন, ‘মন্ত্রিত্ব হারানোর পরে পর তার অঢেল সম্পদের কথা মানুষ জেনেছে। এর আগে তার সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হলেও বর্তমানে এই রাজনীতিই প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে রাজনীতির সঠিক চর্চা হচ্ছে না।’

খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হলে আগে খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে আগে খাদ্যকে ভেজালমুক্ত করতে হবে। এর জন্য শুধু সরকার বা কোনো সম্প্রদায় নয় সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

ড. মিজানুর

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তবে অসুস্থ থাকায় তার পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এর জন্য দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’

বার্তায় আরও বলা হয়, ‘দেশে অধিকাংশ কৃষক ভূমিহীন ও বর্গাচাষী। বিভিন্ন সময়ে তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন। কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।  এ জন্য আমাদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।’

পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্বে খাদ্য সংকট নেই। তবু বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র। তারা সঠিক বণ্টনের অভাবে খাদ্যাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু খাদ্য নিরাপত্তাই নয়, পুষ্টিরও নিশ্চয়তা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের পলিসি অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার মনিষা বিশ্বাস। বিকেল পযন্ত এ গণশুনানি চলবে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রান্তিক নারী ও কৃষকরা এতে অংশ নিচ্ছেন।



মন্তব্য চালু নেই