মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের আপত্তি সত্ত্বেও ১৫৫৪ নতুন এমপিওভুক্তি

নিয়োগ বন্ধ থাকলেও এমপিওভুক্তির তালিকায় কীভাবে দেড়হাজার শিক্ষকের নাম আসলো তা জানতে চেয়েছে এমপিওভুক্তির সভায় উপস্থিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মকর্তা।

গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তবু গোঁজামিল আর ব্যাকডেটে বিজ্ঞাপন ও নিয়োগ পরীক্ষা দেখিয়ে শত শত নিয়োগ ও এমপিওভুক্তি হচ্ছে মর্মে প্রতিবেদনে টনক নড়ে মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের। বৃহস্পতিবারের এমপিও সভায় উপস্থিত থেকে প্রশ্ন উত্থাপনকারী তিন কর্মকর্তা হলেন, উপ-সচিব বেগম নুসরাত জাবিন বানু, সিনিয়র সহকারি সচিব বেগম নাছিমা খানম ও সহকারি পরিচালক মো. আবদুল খালেক মিঞা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নব নিযুক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকেলে জুলাই মাসের এমপিওভুক্তির সভা অুনষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী পদাধিকার বলে মহাপরিচালক ওই সভার সভাপতি ও এমপিওভুক্তির ভুলত্রুটির দায়-দায়িত্ব তার ওপরই বর্তায়।

সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের মতে, প্রথমেই মহাপরিচালক জানতে চান এত নিয়োগ কীভাবে হলো? নিয়োগ তো বন্ধ? সবগুলো আবেদন ও কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাইবাছাই করা হয়েছে কী-না? এমন প্রশ্নের জবাবে মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. এলিয়াছ দাবী করেন কোনো দুর্নীতি হয়নি, সব সঠিকভাবে হয়েছে। তবে, সভার কার্যপত্র ও উপস্থিতির তালিকায় স্বাক্ষর না করেই আগেভাগে সভা ছেড়ে চলে গেছেন নুসরাত জেবিন।

উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, এলিয়াছ ও জামিলের দুর্নীতির দায় তারা নিতে পারবেন না। এমপিওর সভায় যোগদানের আগে আলাপকালে মহাপরিচালক বলেছিলেন তিনি সভায় উপস্থাপিত তালিকা যাচাই বাছাই করবেন এবং সভায় এর সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন।

এমপিও সভায় কাগজ অনুযায়ী, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার নতুন শিক্ষক-কর্মচারি ও সহকারি গ্রন্থাগারিক এমপিওভুক্তি এক হাজার পাঁচশ ৫৪ জন। ই্ডেক্সধারীদের এমপিওভুক্তি তিনশ তিনজন, নাম ও বয়স সংশোধন এক হাজার চারশ ১৭ জন। টাইম স্কেল ছয়শ ৮৬ জন। বি এড স্কেল সাতশ আটানব্বই জন। বদলি তিনশ বারো, পদোন্নতি একশ সাইত্রিশ; বকেয়া দুইশ পয়তাল্লিশসহ সর্বমোট পাঁচ হাজার একশউনপঞ্চাশ জন।

নতুন এমপিওভুক্তিতে তিনশ একচল্লিশ জন নিয়ে এগিয়ে রংপুর অঞ্চল। বরিশাল একশ ৬৩ জন; সিলেট ২৩; চিটাগং একশ ২২; রাজশাহী ২৭৪; খুলনা ১৮৪; ময়মনসিংহ ১৬৯; ঢাকা ১৬২ ও কুমিল্লা ১১৬।

সভায় উপস্থিত ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক গৌড় মন্ডলকে কষে ধমক দিয়েছেন মহাপরিচালক। হাইকোর্টের নিদের্শ সত্ত্বেও একজনকে এমপিও না দেয়ায় কড়া কথা শুনতে হয়েছে গৌড়কে। গৌড় জানান, সময়ের স্বল্পতার কারণে তার অঞ্চলের আরো ৫০০ আবেদন প্রসেস করতে পারেননি আর তাই আজকের সভায় উপস্থাপন করতে পারেননি।



মন্তব্য চালু নেই