মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠাচ্ছে না ইন্দোনেশিয়া

সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্রপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোতে গৃহস্থালী কাজের জন্য কোনো নারী শ্রমিক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। আমিরাতের ইন্দোনেশিয় দূতাবাস এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে ।

দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ৯০ হাজার অভিজ্ঞ ইন্দোনেশীয় শ্রমিক কাজ করছে বলে গালফ নিউজ জানিয়েছে।

গালফ নিউজ জানিয়েছে, গত ১৪ ফেব্রয়ারি ন্যাশনাল কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় এ ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। তিনি বিদেশে গৃহকর্মী হিসেবে ইন্দোনেশীয় কোনো নারীকে যেন পাঠানো না হয়, শ্রম মন্ত্রণালয়কে এটি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সম্পর্কে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন,‘ আমি মানবশক্তি মন্ত্রণালয়কে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ওপর একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। একজন নারীকেও যেন গৃহ পরিচারিকা হিসেবে বিদেশ না পাঠানো হয়।’ তিনি আরো বলেন,‘আমাদের কিছু আত্মসম্মানবোধ এবং মর্যাদা থাকা দরকার।’

আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রচুর নারী শ্রমিক নেয়া হয়ে থাকে যাদের সিংহভাগই গৃহস্থালী কাজে নিযুক্ত থাকেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার হিসাব মতে, সত্তর দশকের গোড়া থেকে মধ্রপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোতে গৃহস্থালী কাজের জন্য ইন্দোনেশিয়াসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো নারী শ্রমিকদের পাঠানোর কাজ শুরু করেছিল।

কিন্তু সম্প্রতি মালয়েশিয়া,ব্রুনেই, দারুসসালাম ও ফিলিপাইন সফর শেষে গৃহস্থালী কাজের জন্য বিদেশে কোনো ইন্দোনেশীয় নারী না পাঠানোর এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট উইদোদো।

এসব দেশগুলোতে বর্তমানে প্রায় ২৩ লাখ ইন্দোনেশীয় শ্রমিক কাজ করছেন যাদের অর্ধেকই হৈচ্ছেন অবৈধ শ্রমিক। এসব অবৈধ শ্রমিকদেরকেও দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়া। সম্প্রতি ১৮শ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি সংখ্যক শ্রমিক ফিরিয়ে নেবে দেশটি।



মন্তব্য চালু নেই