মঙ্গলবার মালয়েশিয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, ৪ চুক্তির সম্ভাবনা

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের আমন্ত্রণে মঙ্গলবার ৩দিনের সফরে তার দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি জনশক্তি রপ্তানি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি, পর্যটন, উচ্চ শিক্ষা ও পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এ সময় চারটি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২০০০ ও ২০১০ সালে মালয়েশিয়া সফর করেন।’

তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়া বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম রাষ্ট্র। ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক কারণে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর। ১৯৭২ সালের ৩১শে জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে গভীর সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সূচনা হয়। দুই দেশের মানুষের মধ্যকার পারস্পরিক যোগাযোগ ও সংস্কৃতির নৈকট্যের ফলে বিদ্যমান সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে গভীরতর হচ্ছে। তবে এ সম্পর্কের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক মালয়েশিয়া সফরের মধ্য দিয়ে। ওই সফরে দুই দেশের ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়, যা গত চার দশকে বহুমাত্রিকতা লাভ করেছে।’

মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার দাবি করে বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। যেখানে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ বাংলাদেশি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন। মালয়েশিয়া থেকে আমাদের প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশভিত্তিক রেমিট্যান্সের তালিকায় পঞ্চম বৃহত্তম। এসব রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ বিবেচনায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের কর্মক্ষেত্রের প্রসার এবং কর্মী নিয়োগের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে এ সফরে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হবে।’

প্রধানমন্ত্রী সফর শেষে ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরবেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।



মন্তব্য চালু নেই