‘ভয়ভীতি কাটাতে আয়কর মেলায় আসুন’

করদাতাদের আয়কর বিষয়ে অহেতুক ভয়ভীতি দূর করতে আয়কর মেলায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে এনবিআর আয়োজিত আয়কর মেলা-২০১৫ এর উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশের তুলনায় আয়কর দাতার সংখ্যা অনেক কম। কারণ করদাতারা আয়কর রিটার্ন পূরণ ও দাখিল করাকে অনেক ঝামেলা মনে করেন। তাই আমি মনে করি এ ধরনের ভয়ভীতি দূরতে পারলে দেশের করদাতার সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাবে।

আমু বলেন, করদাতাদের নেতিবাচক ধারণা দূর করতে এনবিআর বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে আয়কর মেলা অন্যতম। মেলা করবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই আমি করদাতাদের উদ্দেশ্যে বলবো, কর পরিশোধসহ আইন ও বিধি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিতে এবং অহেতুক ভয়ভীতি দূর করতে আয়কর মেলায় আসুন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের মূল উদ্দেশ ছিল বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা। এজন্য তিনি ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৭৬ নম্বর আদেশ বলে এনবিআর গঠন করেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের হাত ধরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। করদাতার সংখ্যা যদি বাড়াতে পারি তাহলে ২০৪১ সালে আগেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সেরা করদাতাদের সিআইপি মর্যাদা দেওয়ার দাবি উঠেছে। এ বিষয়ে শিগগিরই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ উন্নয়ন) আবদুর রাজ্জাক।

মেলা উদ্বোধনের পর মন্ত্রী বিভিন্ন সেবার বুথ ঘুরে ঘুরে দেখেন।

এবারের আয়কর মেলায় করদাতাদের সেবা দিতে ১৭২টি বুথ রয়েছে। এর মধ্যে বৃহৎ করদাতা, প্রতিবন্ধি, সিনিয়র সিটিজেন, মুক্তিযোদ্ধা ও মহিলাদের জন্য পৃথক বুথ থাকবে। ৫৬টি হেল্প ডেস্ক এবং করের অর্থ জমা দিতে সোনালী ও জনতা ব্যাংকের পৃথক ৬টি বুথ রয়েছে। ব্যাংকের বুথের মাধ্যমে করদাতা তাৎক্ষণিকভাবে কর পরিশোধ করতে পারবেন।

করদাতাদের সুবিধার্থে এ বছরই প্রথম শুল্ক, ভ্যাট ও জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের পৃথক বুথ রয়েছে আয়কর মেলায়। রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় শহরে একযোগে সাত দিনব্যাপী আয়কর মেলা আয়োজন করা হয়েছে। তবে জেলা শহরে ৪ দিন, ২৯টি উপজেলায় ২দিন এবং ৫৭টি উপজেলায় ১ দিনের ভ্রাম্যমাণ আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই