ভ্রমণ : মণিপুর উপজাতি গ্রাম

বাংলাদেশের যে কয়েকটি জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এ ভরপুর মৌলভীবাজার জেলা তার মধ্যে অন্যতম। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় বিভিন্ন উপজাতিরা বসবাস করে। মণিপুরী উপজাতিদের বসবাস এই মৌলভীবাজার জেলাতেই।
 
কোথায় অবস্থিত
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ৬নং আলিনগর ইউনিয়নে ঐতিহাসিক মংগলপুর গ্রাম অবস্থিত। এই গ্রামেই মণিপুরী উপজাতিরা বসবাস করে।
 
দেখতে পাবেন
ভূ-মানচিত্রে ২৪°২০’০০” উত্তর অক্ষাংশে এবং ৯১°৫৩’০০” পূর্ব দ্রাঘিমাংশে কমলগঞ্জ অবস্থিত। কমলগঞ্জের পূর্বে সবুজ শ্যামল সুনছড়া চা বাগান । কমলগঞ্জ থেকে মাত্র আড়াই মাইল পূর্বে ভারতের সীমান্ত । সীমান্তের অপর পাড়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর ত্রিপুরার কৈলাসর মহকুমার অন্তর্গত মূর্তিছড়া চা বাগানের অবস্থান। পশ্চিম পাশ জুড়ে বিখ্যাত লাগাটা নদী, তার পশ্চিম কূলে প্রাচীন ঐতিহাসিক মংগলপুর গ্রাম, এখানে মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোক বাস ।  তার পশ্চিমে ডবল-ছড়া, লাউয়া ছড়া পর্যটন কেন্দ্র এবং চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল । দক্ষিণ পাশ দিয়ে ঝির ঝির করে বহে চলছে ভারতের পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি কন্যা খুব ছোট্ট নদী যার নাম সুনছড়া। প্রস্থে ছোট বলে অনেকে নদী না বলে ঝিরি বা ছড়া বলে থাকেন। শুধু বৈশাখ মাসে নয়, বারোমাসই পা ভেজানো পানি থাকে । তবে যখন অতিবর্ষণ হয় তখন পানিতেলে টইটম্বুর প্রবল বেগে ভাটির দিকে নেমে চলে। সেই সময়ে সাময়িক ভাবে দুইপাশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন গরু ঘোড়া কেন কোন মানবও খরস্রোতকে উপেক্ষা করে পাড় হতে পারেনা। সুনছড়ার দক্ষিণ পাশে চিৎলীয়া গ্রাম ও বিশাল হলদির হাওড়। আরও দক্ষিণে ইতিহাস প্রসিদ্ধ আদমপুর, তারও দক্ষিণে পর্যটন কেন্দ্র মাধবপুর লেক, এখানেও মনিপুরী সম্প্রদায়ের বাস । আরও দক্ষিণে সদ্য লোক নজরে আসা নয়ন কাড়া বাংলাদেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত হামহাম। গ্রামের উত্তর পাশে লাংলিয়া গ্রাম। তার উত্তরে আলিনগর চা বাগান, ৪ মাইল উত্তরে ঐতিহাসিক শমশের-নগর এয়ারপোর্ট অবস্থিত। আরও উত্তরে লংলার পৃথিমপাশার ঐতিহ্যবাহী নবাব বাড়ি এবং পর্যটন কেন্দ্র মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত।
 

প্রধান আকর্ষণ
মণিপুরীদের জীবনযাত্রা খুব কাছ থেকে দেখা, তাদের কৃষ্টি-আচার ব্যবহারের সাথে পরিচিতি হওয়া, মণিপুরী নৃত্য, মণিপুরী গান বাজনা, মণিপুরীদের সভ্যতা অবলোকন করা। 
 
কিভাবে যাবেন
ঢাকার সায়েদাবাদ বাসটার্মিনাল, গাবতলী বাসটার্মিনাল থেকে বাসে করে ও কমলাপুর রেলষ্টেশন থেকে ট্রেনে করে মৌলভীবাজার যাওয়া যায়।  মৌলভীবাজার থেকে বাসে বা যে কোন যানবহনে করে মংগলপুর গ্রামে যাওয়া যায়।
 
কোথায় থাকবেন
মনিপুরীদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠলে তাদের বাড়িতেই থাকা যাবে। এছাড়া মৌলভীবাজার, কমলগঞ্জে থাকার মতো অনেক আবাসিক হোটেল আছে, ইচ্ছা করলে সেখানেও থাকা যায়।



মন্তব্য চালু নেই