ভোলায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন রক্ষায় মানববন্ধন, পাউবো অফিস ঘেরাও

ভোলার মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষা ও সিসি ব্লক স্থাপনের দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও পাউবো অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী।

বুধবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় শহরের কে জাহান মার্কেট চত্বরে ইলিশা ফেরিঘাট ও ভোলা বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি- এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে।মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন- ভোলা পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ইলিশা ফেরিঘাট ও ভোলা বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক সাহেদ আলী, সদস্য সচিব নুরে আলম, আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক আফজাল হোসেন, হাসিব রহমান, সমাজ সেবক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।এছাড়াও এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে একাত্মতা প্রকাশ করেন।বক্তরা বলেন, মেঘনার ছোবলে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভীটা, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

কিন্তু পাউবো ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।মানববন্ধনে এলাকাবাসীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙন রোধের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি ইতোমধ্যেই ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে ৩৫ লাখ টাকা বিতরণ করেছেন।মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো ডিভিশন-১) অফিস ঘেরাও করে এলাকাবাসী। তবে, এ সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, রোজার ঈদের আগের দিন থেকে দুই আড়াই মাস ধরে আকস্মিকভাবে ভোলা সদরের ইলিশা ও রাজাপুর পয়েন্ট দিয়ে ভয়াবহ ভাঙন চলছে। ভাঙন কবিলত এলাকা পরিদর্শন করে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রীতোফায়েল আহমেদ ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিছুল ইসলাম মাহমুদ।

ভাঙন রোধে পাউবো জিও ব্যাগ ও জিও টিউব স্থাপন করে। কিন্তু নদীর গতিপথ পরিবর্তন, স্রোতের তীব্রতা ও ভাঙন বেড়ে যাওয়ায় কিছুতেই ভাঙন বন্ধ হচ্ছে না।

এদিকে, নদী ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে ১০ দিনের আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে ইলিশা, রাজাপুর ও ভোলা বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি। তারা ইতিমধ্যে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, লিফলেট বিতরণ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকিম বলেন, সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে সিসি ব্লক স্থাপন করার প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। ৩১০ কোটি টাকার এ প্রজেক্ট অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং শুষ্ক মৌসুমে এ কাজ শুরু হবে।



মন্তব্য চালু নেই