ভোলার লালমোহনে যুবককে অপহরন করে মুক্তিপন দাবী, এসপির হস্তক্ষেপে উদ্ধার

ভোলার লালমোহনে এক যুবককে অপহরনের পর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপন চেয়েছে সন্ত্রাসীরা। ২৪ জুন লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের কাজীর বাজার সংলগ্ন মাদ্রাসার কাছ থেকে সাদ্দাম হোসেন (২২) নামের এ যুবককে অপহরনের পর শারীরিক ভাবে নির্যাতন চালানো হয়। অপহরনকারীরা টাকা না পেয়ে সাদ্দামের বাবা মাহমুদুল হককে তার মোবাইলে টাকা পাঠানোর জন্য হুমকি দিতে থাকে।

ঘটনাটি স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহিত করলেও তারা এব্যাপারে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় সাদ্দামের পরিবারের লোকেরা একেবারেই অসহায় হয়ে পরে।সাদ্দামের বাবা জানান, লালমোহন চর ছকিনার যুবলীগ ক্যাডার রিপন ও গিয়াস উদ্দিন সহ ৭/৮জনের অস্ত্রধারী সাদ্দামকে অপহরনের পর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।তারা সাদ্দামের বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।

এক পর্যায়ে অপহৃতের পরিবারে লোকেরা জেলা শহরে এসে পুলিশ সুপারের স্বরনাপন্ন হয়। ঘটনাটি জানার পর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান লালমোহন থানার ওসিকে ফোন দেন। একঘন্টার মধ্যে অপহৃত যুবককে উদ্ধারের নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ২৮জুন রাতে লালমোহন শহরের একটি বাসা থেকে যুবক সাদ্দামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান,সাদ্দামকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। অপহৃত যুবকের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।সরেজমিন অনুসন্ধানকালে স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানায়, ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহমুদুল হকের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সাথে ২ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালুর চর এলাকায় বাসিন্দা রফিক মিয়ার কন্যা তানিয়া বেগমের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী তানিয়া স্বামী সাদ্দাম হোসেনের কাছে চলা ফেরা করতে অবাদ স্বাধীনতা চায়। স্বামী সাদ্দাম স্ত্রীর এমন দাবী না মানায় তানিয়া বেগম কাউকে না বলে শশুর বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। এর পর তানিয়া স্বামীর বাড়ীতে না ফিরে একটি মহলের ইন্দনে সাদ্দমের কাছ হতে মুক্তি চায়। কিন্তু সাদ্দাম তার স্ত্রীকে নিয়ে সুন্দর ও সামাজিক ভাবে সংসার করার ইচ্ছের কথা জানায় তানিয়াকে ।

ফলে ক্ষুব্দ স্ত্রী তানিয়া ও তার পরিবারের লোকেরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে অপহরনের ঘটনা ঘটিয়ে মুক্তিপণ দাবী করে। কিন্তু পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে কু-চক্রীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায়। এঘটনাটি লালমোহনের টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই