ভোটে হামলায় হাঁটুর নিচে গুলির নির্দেশ ইসির

আসন্ন সিটি নির্বাচনে ভোটের উপকরণ ছিনতাই বা অনিয়মের চেষ্টা হলেই পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দৃঢ় হাতে পরিস্থিতি মোকোবেলা করতেও বলা হয়েছে।

রোববার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইসি এসব নির্দেশনা দিয়েছে। বৈঠকটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল অফিসার, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক, আনসার, বিজিবি, ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক, কোস্ট গার্ড, এনএসআইএর ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারসহ নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, সিইসি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেছেন, কোনো অভিযোগ এলে যাচাই করতে হবে। সত্য হলে ব্যবস্থা নেবেন, সে যেই হোক। নির্ভয়ে ব্যবস্থা নেবেন। প্রথমে সতর্ক করবেন, কাজ না হলে দৃঢ় হস্তে মোকাবেলা করবেন। শক্ত হাতে কাজ করবেন, যেন ভুল না হয়। অস্ত্র তুলে দেওয়া হয় দেখানোর জন্য না। জোর করে কেন্দ্রে অনিয়মের জন্য ঢুকলে দ্বিগুণ জোর করে বের করে দেবেন। প্রয়োজনে অস্ত্র ব্যবহার করবেন। কেউ বল প্রয়োগ করলে দ্বিগুণ মাত্রায় বল প্রয়োগ করতে হবে।

এছাড়া সন্ত্রাসী, মাস্তানদের খুঁজে বের করে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশও দেন তিনি। যাতে নির্বাচনে তারা কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে।

জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক পুলিশকে বলেন, অতীতে নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে, ভোটের মালামাল (উপকরণ) ছিনতাই হয়। কিন্তু পুলিশ গুলি করে না। এটা ঠিক না। মালামাল ছিনতাইয়ের চেষ্টা হলে প্রতি গুলিতে যেন রক্ত ঝরে। তবে গুলি অবশ্যই হাঁটুর নীচে করতে হবে।

সূত্র আরো জানায়, বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিজয়ী হতে না পারলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর সমর্থকরা পেট্রোল বোমা হামলা করতে পারে বলেও আশংকা করা হয়েছে। র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক চট্টগ্রামে জঙ্গি হামলার আশংকার কথাও বলেছেন। এক্ষেত্রে তিনি গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীরা যেন ছাড়া না পায় সে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মাদ্রাসারগুলোর ওপর কড়া নজরদারির রাখার কথা বলেছেন।

ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক বলেছেন, তিন সিটি এলাকাতেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে ২৫ এপ্রিল থেকেই যেন পুলিশ চেক পয়েন্ট এর ব্যবস্থা রাখে।

আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।



মন্তব্য চালু নেই