ভোটে নয়, কাগজে কলমেই বিরোধী দল ‘জাতীয় পার্টি’

প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) নির্বাচনে এক শতাংশ ভোটও পায়নি এরশাদের জাতীয় পার্টি। যেখানে ইসলামি আন্দোলন পেয়েছে ২দশমিক ২ শতাংশ ভোট। সেখানে বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ০ দশমিক ৯২ শতাংশ ভোট।

সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন, পরীক্ষায় প্রথম সাবজেক্টে ফেল করেছে জাতীয় পার্টি। বাঁকি পাঁচ সাবজেক্টেও ফেল করার আশঙ্কাই বেশি। তাই এখন এরশাদের জাতীয় পার্টিকে ভোটের দল নই, কাগজে কলমের বিরোধী দল বলছেন বিশ্লেষকরা।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম বিষয়ে (প্রথম ধাপের) ৭১১ নম্বরের (৭১১ ইউনিয়ন পরিষদ) মধ্যে মাত্র ৪ নম্বর পেয়েছে জাতীয় পার্টি। কেউ কেউ আবার হাস্যরস করে বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন অনিয়মিত ছাত্র। পরীক্ষাতে হাজিরই হয়নি। তার রেজাল্ট খুঁজবে কি করে। তাদের এই কথার যুক্তি হচ্ছে, প্রথম ধাপের ৭১১ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে মাত্র ১২৭টিতে প্রার্থী দিয়েছিল। প্রার্থীই দিতে পারেনি তারা, ফল খুঁজবে কি করে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, প্রথম ধাপের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মোট ৫৫ হাজার ভোট পেয়েছেন- যা প্রদত্ত ভোটের এক শতাংশেরও কম।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন নেতাকর্মীরা। ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৬৪৩ ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ১৫৬টিতে প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে দলটি। এখানেও পাস নম্বর দিচ্ছেন না কেউই।

ইউনিয়ন পরিষদের এই ফলাফলকে জাতীয় পার্টির জন্য রেড অ্যালার্ট হিসেবে দেখছেন অনেকে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সঙ্গে তুলনা করলে বেহাল দশা এরশাদের জাপার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা প্রথম দফার নির্বাচনে ২ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ইউপি ভোট সঠিক হয়নি। পাতানো নির্বাচন হয়েছে। রাস্তায় কান পাতলে বুঝতে পারবেন মানুষ কি চায়। তাই এই ফলাফল দিয়ে কোন দলের জনপ্রিয়তা মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।

জাতীয় পার্টির বিপর্যয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থীদের সঠিকভাবে প্রচারণা চালাতে দেওয়া হয়নি। ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে।

জিএম কাদের বলেন, পেশীশক্তি ও টাকা দিয়ে ভোটকে প্রভাবিত করা হয়েছে। অনেক এলাকায় ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হয়েছে। এই ভোটে জনমতের প্রতিফলন হয়নি।

প্রসঙ্গত, প্রথম দফা ইউপি নির্বাচনে ৭১২ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও ইসলামি আন্দোলন ছাড়াও আওয়ামী লীগ পেয়েছে ৫৩ দশমিক ৫২ শতাংশ, বিএনপি ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ,সতন্ত্র ২৪ দশমিক ১ শতাংশ, ওয়ার্কাস পার্টি ০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।



মন্তব্য চালু নেই