ভোটডাকাতি ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ জাপার

পৌর নির্বাচনে ভোটডাকাতি ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। একই সঙ্গে কারচুপি হওয়া কেন্দ্রগুলোতে নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে দলটি।

বুধবার দুপুর ২টার দিকে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত এসব অভিযোগ দাখিল করে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দল।

দুপুরে জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যান। প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইসলাম ও সাইদুর রহমান।

রেজাউল ইসলাম ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘পৌর নির্বাচনে ১৭৬টি কেন্দ্র থেকে ক্ষমতাসীন মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ যা দেখছি, তাতে করে আর এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু বা অবাধ বলা যায় না।’

নির্বাচন বর্জনের সম্ভাবনা আছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না। দলগতভাবে নির্বাচন বর্জনের কোনো সীদ্ধান্ত আমাদের নেই। তবে কুয়াকাটায় আমাদের একজন প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন বর্জন করেছেন।’

জাতীয় পার্টির অভিযোগে বলা হয়, সরিষাবাড়ি পৌরসভার ১৮ কেন্দ্রে, জামালপুর সদর, লাকসাম, দিনাজপুর, দিরাই, হবিগঞ্জ সদর, নওগাঁ, নাটোর, নড়াইল সদরের ভরাসোলা এতিমখানা কেন্দ্র, বরাইগ্রাম, সিরাজগঞ্জ সদর, গাংনী, পীরগঞ্জ, হাকিমপুর, মুক্তাগাছা, মদন পটিয়াদি, পাংশা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, রামগতি, রায়পুর সদর, জয়পুরহাট, কুমারখালী মহিলা ডিগ্রি, কুয়াকাটা, গোয়ালন্দ, পটিয়া, বান্দরবানের প্রায় সবকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী কর্তৃক ভোটডাকাতি, কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। অতএব সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে উল্লেখিত কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে নুতন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক।

প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল ৮টা থেকে দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অনিয়মের কারণে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে তিনটি, মাদারীপুরের কালকিনিতে দুটি, কুমিল্লার বরুড়া এবং নড়াইলের কালিয়া পৌরসভার একটি করে কেন্দ্র স্থগিত হয়েছে। আর জামালপুরের সরিষাবাড়ী, বরগুনা এবং কুয়াকাটা পৌরসভার একটি করে কেন্দ্র সংঘর্ষের কারণে স্থগিত হয়ে গেছে।



মন্তব্য চালু নেই