ভেড়ার যৌনাঙ্গ তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছে এই ফুটবলাররা! কিন্তু কেন? জেনে নিন…

আজ, সোমবার ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে৷বিজয়ী দল পৌঁছে যাবে ইউরো ২০১৬-র শেষ আটে৷ইংল্যান্ডের ও আইসল্যান্ডের ফুটবলাররা খেলার আগে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খেয়েই মাঠে নামবেন৷আর বাকি পাঁচটা আন্তর্জাতিক ফুটবল দলের খাদ্যাভাস ব্রিটিশ বাহিনীদেরও রয়েছে৷তার মধ্যে ফল, সাক-সবজি, স্যালাড, ফিস অ্যান্ড চিপস, চিজ টোস্ট এসবই থাকে৷কিন্তু আইসল্যান্ডের ফুটবলাররা প্রতিদিন কি খায় আপনি কি জানেন? প্রতিবেদনটি পড়তে-পড়তেই হয়তো আপনার গা-পাক দিতে পারে৷তার দায় কিন্তু আমাদের নয়৷খবরের তাগিদেই আইসল্যান্ডের ডায়েট চার্ট তুলে ধরা হচ্ছে৷‘দ্য সান’-এর এই রিপোর্ট রীতিমতো হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছে ফুটবল মহলে৷

আইসল্যান্ডের ফুটবলারদের খাদ্য তালিকায় প্রথমেই থাকে ট্র্যাডিশনল আইরিশ খাবার ‘হাকার্ল’৷এতে মূলত পচে যাওয়া বিষাক্ত হাংরের মাংস থাকে৷যেটাকে আগুনে ঝলসে ছ’মাস পাথর চাপা দিয়ে রাখা হয়৷একই ভাবে তিমি মাছের মাংসওও ব্যবহৃত হয়৷কারণ এটা করলেই টক্সিন কাটানো যায় খাবার থেকে৷অ্যামোনিয়ার ভাগ নিস্ক্রিয় করতে আইরিশ শেফেরা এর উপর প্রসাব করেন৷ভেড়ার মাথা দিয়ে টোস্ট ও সেদ্ধ, ভেড়ার রক্ত দিয়ে তৈরি পুডিং, ভেড়ার অণ্ডকোষ ভাজা ও সেদ্ধ, সামুদ্রিক কোড মাছের জিভ ও নাড়িভুড়ি, পাফিন পাখির বার্গার৷এরপরেই অত্যন্ত কড়া মদ সেবন করেন তাঁরা৷এগুলি খেলে ফুটবলারদের চুল, ত্বক ও সেক্স-ড্রাইভ থাকে তুঙ্গে৷

এমনটাই বিশ্বাস আইরিশদের৷আইসল্যান্ড দলের ডিফেন্ডার হাকুর হাকসন বলছেন, ‘‘প্রত্যেকটি দেশের প্রথাগত কিছু খাদ্যাভ্যাস থাকে। আমাদের ভালই লাগে এই খাবার খেতে।’’ লন্ডনের জনপ্রিয় শেফ ড্যান ডোহার্টি বলছেন,‘‘ জীবনে অনেক রকম পদ রান্না করেছি ও খেয়েছি৷ কিন্তু এমন জঘন্ন খাবার আমি জীবনে খাইনি। লাঞ্চ টেবিলে বসে এমনই একটা পদ খেতে হচ্ছে, সেটা ভাবাই আমার কাছে এক ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নের মতো৷হাঙরের বা তিমির সেই শুকনো মাংস যাতে কোনওভাবেই নষ্ট না হয়ে যায়, তার জন্য তরল অ্যামোনিয়ার মধ্যে তাকে ডুবিয়ে রাখা হয়। এর তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ একবার নাকে গেলে খাবার কিছুতেই গলা দিয়ে নামবে না।’’



মন্তব্য চালু নেই