ভেঙে পড়েছে জামায়াতের সাংগঠনিক কাঠামো

মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজা মাথায় নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শিক গুরুর মৃত্যু, একের পর এক শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর সারাদেশে দফায় দফায় নাশকতা করে জামায়াত ইসলাম। তবে এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে অনেকটাই।  প্রথম ও দ্বিতীয় সারির শীর্ষ নেতাদের বেশীরভাগই এখন কারাগারে আটক। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় নীতি নির্ধারক পর্যায়ের নেতাদের অনেকেরই  মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এ অবস্থায় হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার জন্যও নেতা খুঁজে পাওয়া যায় না।

দলীয় কর্মসূচি, মতাদর্শ প্রচার এবং রিক্রুটমেন্টের জন্য নির্ভর করতে হয় তথ্যপ্রযুক্তির ওপর। দলটির ওয়েবসাইট সচল রয়েছে। কর্মসূচি আসছে ওয়েবসাইটে নিযুক্ত কর্মচারীর হাত ধরে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা কেউ গণমাধ্যম কর্মীদের সামনেও আসতে চাইছেন না। সবশেষ দলের কেন্দ্রীয় নেতা কামারুজ্জামানের রায় ঘোষণার পর ডাকা হরতাল ‘ব্যর্থ’ হওয়ার পর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা বলছে, কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচি সফল করার মতো মনোবল হারিয়েছে জামায়াত। ঐক্যে চির ধরেছে দলের সদস্য এবং সমর্থকদের মধ্যেও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত এক যুগে দেশে এই দলটির জনসমর্থন বাড়েনি, রাজনৈতিক আদর্শও আকর্ষণ করতে পারেনি তরুণ প্রজন্মকে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জামায়াতের বন্ধু সংগঠন থাকলেও গেল বছর আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দলটির মূল শক্তি ছাত্রশিবিরকে চিহ্নিত করেছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে। এ অবস্থায় সংগঠনের অর্থনৈতিক ভিত্তি টিকিয়ে রাখার কৌশল নেয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই দলটির সামনে।



মন্তব্য চালু নেই