ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক, বিড়ম্বনা

কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক। শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক এর নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করছে।

ইতিমধ্যে একাধিক গ্রাহক এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। ভূমিকম্প থেমে যাওয়ার পর তারা আত্মীয়স্বজনদের খোঁজখবর নেয়ার জন্য ফোন দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনোভাবেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছিলেন না। বারবারই নেটওয়ার্ক ফেইল বার্তা দেয়া হচ্ছিল। কিছু সময় পর মাঝে মাঝে সংযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। নেটওয়ার্ক পরিস্থিতি এখনৈা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।

একজন গ্রাহক জানান, আমি গ্রামীণফোনের গ্রাহক, ভূমিকম্প হওয়ার পর থেকে একটা কলও করতে পারছি না।…আমার কাছে রবি’র একটা বিকল্প সিমকার্ড ছিল, সেটা দিয়েও কল করা গেল না, আমার এক সহকর্মী জানালেন, তার বাংলালিংক নম্বর থেকেও কল করতে পারছেন না…শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র টেলিটকের একটা সিমকার্ড থেকে কল করা সম্ভব হলো আমার স্ত্রীর টেলিটক নম্বরে…।

এদিকে আমাদের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ভূমিকম্প আচমকা নাগরিকদের কর্মব্যস্ততায় বাধ সাধলেও মিনিট খানেক পরে কম্পন থেমে যায়। তখন কিছু সময় চলে আলোচনা আর সোরগোল। তারপরই শুরু হলো এক নতুন বিড়ম্বনায়। ভূমিকম্পের পর স্বজন-প্রিয়জন কিংবা জরুরি কোথাও ফোন দিতে গিয়ে পড়তে হয়েছে বিপাকে। মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছিল না নেটওয়ার্ক। চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।

প্রায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের নাগরিকরা মোবাইল নেটওয়ার্কসহ ই-মেইল, ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেননি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে নেটওয়ার্ক সচল হলেও পুরোপুরি সুবিধা পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্পের প্রায় ঘণ্টা খানেক পর নেটওয়ার্ক সুবিধা ফিরে পাওয়ার পর সকলেই তাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ খবর নিয়েছেন।

শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকার নূরে আলম বলেন, ‘আমি আমার পরিবারের খোঁজ খবর নিতে পারিনি। আমার মোবাইলেও কোনো কল ঢোকেনি। আমি একটা অফিসে চাকরি করি। সেখানে কাউকে ই-মেইলও করতে পারিনি। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে নেটওয়ার্ক বন্ধ ছিল। শহরের সকলেই এ নিয়ে কথা বলছে।’

এদিকে, ভূমিকম্প চলাকালীন বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। মোবাইলে কোনো ধরনের রির্চাজ করা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।



মন্তব্য চালু নেই