ভূতের সঙ্গে যৌনমিলন! ইতিহাস কি বলছে দেখুন…

পশ্চিমা দেশগুলোতে দীর্ঘকাল ধরেই প্রেতাত্মা বা পরাবাস্তবতা নিয়ে নানারকম লেখালেখি হচ্ছে, হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা। আর প্রেতাত্মার সাথে যৌনমিলনের ধারণাও এই আলোচনার অন্তুভুক্ত। হলিউড হরর মুভিতেও এমনটা দেখা যায়। সাহিত্যেও এর চর্চা লক্ষ্য করা গেছে। জেনে নেয়া যাক এ বিষয়ে ইতিহাস কি বলছে-

– কোনো কোনো গবেষক বলেন, মানুষের সঙ্গে ছায়ালোকের বাসিন্দাদের শরীরী সম্পর্কের ধারণা অতি প্রাচীন। এমন ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় প্রাচীন ইহুদি-খ্রিস্টান ঐতিহ্যে। বাইবেলের জেনেসিস পর্বে সাপ-রূপী শয়তানের সঙ্গে ইভের ‘মিলন’ এবং তা থেকে কেইন-এর জন্মকে তাঁরা এর উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেন। এর পরেও বাইবেল এমন অসংখ্য সম্পর্কের কথা জানায়, যেখানে এক পক্ষ মানুষ হলেও অন্য পক্ষ কিছুতেই মানুষ নয়।

– চতুর্দশ শতক নাগাদ ইউরোপে রীতিমতো উৎসাহের সঙ্গে চর্চিত হতে শুরু করে ডাইনিবিদ্যা। এই বিদ্যার চর্চাকারীরা মূলত ছিল ‘শয়তান’-এর উপাসক। এদের একাংশের বিশ্বাস ছিল, এই পার্থিব জগতেই শয়তানের সঙ্গে মিলিত হওয়া যায়। এবং সেই মিলন রীতিমতো শরীরী। প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক রোমান পোলানস্কি তাঁর ‘রোজমেরি’জ বেবি’ ছবিতে বিংশ শতকের এক শয়তান উপাসক সম্প্রদায়কে দেখিয়েছেন। যাদের প্রভাবে ছবির নায়িকা ‘শয়তান’-এর দ্বারা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। শয়তান উপাসনার অন্যতম উপাচারই ছিল অবাধ যৌন সংসর্গ।

– মধ্যযুগ থেকে ১৮ শতক পর্যন্ত ডাইনি বা শয়তান উপাসকদের রমরমা চালু ছিল। এর মধ্যেই ঘটেছে এই সব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্যাথলিক চার্চের অভিযান। মারা পড়তে হয়েছে বিস্তর নিরপরাধ মানুষকেও। তার মধ্যেই যারা চর্চা চালানোর, তারা চালিয়ে যায়। ১৮ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ‘যুক্তির যুগ’ শুরু হলে এই সব প্যারানর্মাল কাণ্ড-কারখানা খানিকটা ধামাচাপা পড়ে। কিন্তু ১৮৯৭ নাগাদ ব্রাম স্টোকারের যুগান্তকারী উপন্যাস ‘ড্রাকুলা’ প্রকাশিত হলে দেখা যায়, ‘আনডেড’ ভ্যাম্পায়াররা রীতিমতো সিডিউস করছে রক্তমাংসের জোনাথন হার্কারকে। আবার সাম্প্রতিক ‘টোয়ালাইট’ সিরিজে ভ্যাম্পায়ার এবং রক্তমাংসের মানুষের যৌনমিলনে শিশুর জন্মও ঘটে।

– ইন্টারনেটজুড়ে প্যারানর্মাল ব্লগাররা লিখেই চলেছেন তাদের অতিলৌকিক এনকাউন্টারের অভিজ্ঞতা। তার অন্তত ৩০ শতাংশে থাকে যৌনতার কথা। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই বিশ্বাসের পেছনে যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

সূত্র: এবেলা



মন্তব্য চালু নেই