ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশের বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ

ভুটানের একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশ। এছাড়া প্রকল্পটিতে আরও অর্থ লাগলে ভারত সরকার ও এডিবি’র মতো অন্যান্য সংস্থাও বিনিয়োগ করবে।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভুটান সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এসব কথা বলেন।

১৮-২০ এপ্রিল দেশটির প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ভুটান সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। তবে এগুলোর মধ্যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বিষয়ে কোনো চুক্তি নেই। কবে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট করেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মাহমুদ আলী বলেন, ইতোমধ্যে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের স্থানও নির্ধারিত হয়েছে। এখন প্রাক-সমীক্ষা শুরু। আর একবার শুরু হলে খুব বেশি সময় লাগবে না।

প্রায় ১১শ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে নিজেদের বিনিয়োগের অংশের পাশাপাশি আরও বিদ্যুৎ বাংলাদেশ কিনতে পারবে বলেও জানান মাহমুদ আলী।

তিনি বলেন, সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলির মধ্যে নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবিদ্যুৎ, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, আন্তঃযোগাযোগ তথা কানেক্টিভিটি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, কৃষি ও বাণিজ্য সহজীকরণ সংক্রান্ত বিষয়াবলিতে পারস্পরিক সহযোগিতা অধিক গুরুত্ব পাবে।

এছাড়া বৈঠক শেষে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যমান, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, ভুটান কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট ব্যবহার, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত এবং ভুটান কর্তৃক বাংলাদেশ দূতাবাস স্থায়ীভাবে নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ প্রদানের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।



মন্তব্য চালু নেই