ভায়াগ্রা দিয়ে ভোট কিনছে দক্ষিণ কোরিয়া!

শুধু বাংলাতেই নয়, দক্ষিণ কোরিয়াতেও এখন জোরদার ভাবে বইছে ভোটের হাওয়া। সেই হাওয়াতেই ভেসে এল খবর- ঘরে ঘরে ভায়াগ্রা বিলিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছেন মনোনীত প্রার্থীরা। শুনতে একটু অবাক লাগলেও এই অভিযোগ সম্প্রতি উঠে এসেছে সুওনের প্রসিকিউটর অফিসে। রাজধানী সিওল থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে। প্রচেষ্টা অভিনব, সন্দেহ নেই! যৌনতার হাতছানি এড়িয়ে যেতে পারেন না অনেকেই। তাই বয়সোচিত বা অন্য কারণে যাঁরা লিঙ্গশৈথিল্যে ভুগছেন, অথচ পয়সার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন, তাঁদের দিকে সুবিধের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন প্রার্থীরা। তুলে দিচ্ছেন যৌনতার সহায়ক ওষুধ। স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে সুওনে। ”আমাদের কাছে অভিযোগ এসে পৌঁছিয়েছে। তবে বিষয়টি সত্যি কি না, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। সত্যি হলে যাঁরা এই কাজ করে ভোট কিনতে চেয়েছেন, তাঁদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে”, জানানো হয়েছে সুওনের প্রসিকিউটর অফিস থেকে। ভোট কেনা অপরাধ ঠিকই! তবে, এক্ষেত্রে বিষয়টি একটু বেশিই বিতর্কিত। একেই তো উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি এবং অর্থনৈতিক কারণ চাপের মুখে রেখেছে ভোটকে। তার উপরে প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেনা যায় না- এরকম যৌন ওষুধ বিলি করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ম অনুযায়ী ভোট কিনতে চাইলে হয় পাঁচ বছরের কারাবাস, নয় তো ১০ মিলিয়ন কোরিয়ান কারেন্সি বা ওন জরিমানা! প্রশ্ন শুধু একটাই- শাস্তির নিদান না হয় রয়েছে, কিন্তু ব্যাপারটা রটনা না হয়ে যদি ঘটনা হয়, অপরাধীরা শাস্তি পাবেন তো?



মন্তব্য চালু নেই