ভালোবাসার সম্পর্কে আসল মানুষ চেনার উপায়

ভালোবাসার সম্পর্কে যদি জড়িয়ে থাকেন এবং তা যদি দিন দিন সিরিয়াস হতে থাকে, তবে সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে জীবনের সঙ্গে জুড়ে নেওয়ার আগে আপনাকে নিশ্চিত কিছু লক্ষণ উপলব্ধি করতে হবে। এতে বোঝা যাবে তিনিই সেই মানুষ যাকে আপনি খুঁজছেন। কারণ এ সময় প্রেমপূর্ণ বুদ্বুদের মাঝে অনেক বাস্তবিক চিন্তাধারা কাজ করে না। তাই একই ছাদের নিচে যাওয়ার আগে অন্তত সাতটি বিষয় থেকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন আপনার ভুল হচ্ছে না।

১. কথোপকথন
সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে আপনার কথোপকথন খেয়াল করুন। তিনি আপনাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে কিছু বলেন নাকি তা জানতে হবে আপনার। কথা-বার্তায় যাই থাকুক, আপনাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা থাকতে হবে।

২. সামঞ্জস্যতা
এটা প্রাকৃতিক বিষয় যে, নর-নারী পরস্পরের প্রতি আকর্ষিত হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সবার মানসিকতা একরকম থাকে না। এর অর্থ এই নয় যে সম্পর্কের ভিত্তি নেই। আসলে দুজনের মধ্যে সামঞ্জস্যতা থাকতে হবে। একের অভাবকে অন্যজন পরিপূর্ণ করে তুলবেন এবং দুজনকেই ইচ্ছুক হতে হবে এই বিষয়ে।

৩. দুজনের পথ
দুজনের চলার পথ ভিন্ন হতে পারে। আপনি যদি পেশাগত কাজে দুনিয়া চষে বেড়াতে পছন্দ করেন আর আপনার সঙ্গিনী যদি বাচ্চা নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন তবে মানিয়ে নিতে হবে। বর্তমানের ওপর ভিত্তি করে বলা যায় না যে পাঁচ বছর পর কারো চলার পথ বদলে যাবে না। তবে সবার সৎ থাকা উচিত যার যার পথে।

৪. ব্যক্তিগত এবং সামাজিক
খেয়াল করবেন সঙ্গী বা সঙ্গিনী আপনাকে নিয়ে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। যদি দেখেন সমাজের সামনে আপনাকে নিয়ে তিনি লজ্জাবোধ করছেন, তবে জানতে হবে তার কিছু লুকানোর আছে কি না।

৫. বিশ্বাস
সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্বাসের ক্ষেত্রে সৎ না থাকলে এ সম্পর্কের ভবিষ্যত নেই। আপনার কোনো আচরণে যদি বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি ধরা পড়ে তবে তা নিয়ে আলোচনা করে ঠিক করে নিন। এ ক্ষেত্রে নিজের ইনট্যুশনের ওপর নির্ভর করাটাও জরুরি।

৬. আবেগ হারিয়ে যায়
সময়ের সঙ্গে আবেগ হারিয়ে যাবে। আর দিনের পর দিন এভাবে আবেগ হারিয়ে যেতে থাকলে জীবন হয়ে উঠবে বিষাদময়। তাই এমন মানুষকে বেছে নিতে হবে যার সঙ্গ আপনার জীবনে বয়ে আনে অনাবিল আনন্দ, যাকে ছাড়া আপনার একট মুহূর্তও ভালো লাগে না সেই হতে পারে আপনার সঠিক মানুষটি।

৭. যোগাযোগ
নিজে কী চান বা ভবিষ্যতের লক্ষ্য কী সে বিষয়ে পার্টনারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে হবে। এর অভাবে আপনাদের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব দেখা দিতে পারে। আর বিশ্বাসের অভাব থাকলেই বিপদ। তাই যেকোনো বিষয়ে পার্টনারের সঙ্গে আলোচনা করে লক্ষ্যস্থির করে নিন।



মন্তব্য চালু নেই