ভালোবাসার নারীর যে ৫টি গুণে ঈর্ষা করেন পুরুষেরা!

আপনি কি আপনার প্রেমিকের হিংসার পাত্র? কী, অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ খুব তুচ্ছ কারনেও আপনার প্রেমিকের মনে আপনার প্রতি ঈর্ষাবোধ সৃষ্টি হতে পারে। প্রেমিকার সাফল্যে খুশি হওয়ার বদলে অনেক প্রেমিকই তা সহজভাবে নিতে পারেন না। ফলে মনের গভীরে সৃষ্টি হতে পারে ঈর্ষার ক্ষত। এই ঈর্ষা মুখে প্রকাশ না করলেও আচার আচরণে প্রকাশ পেয়ে যায় এবং তা সম্পর্কের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

নারীরা কখনো তার একান্ত পুরুষটির সফলতায় ঈর্ষা বোধ না করলেও, কেন যেন বেশিরভাগ পুরুষই প্রেমিকা বা স্ত্রীর কিছু বিশেষ সফলতায় ঈর্ষা বোধ করেন। কারণ গুলো এত অদ্ভুত যে শুনলে বিস্মিত হবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর পেছনে থাকে অনিরাপদ বোধ করা, হারানোর ভয়, কিংবা পুরুষসুলভ ইগো। আসুন, আরেকটু জানা যাক।

বেশি আয়
সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কারণটিই হচ্ছে উপার্জন বেশি হওয়া। প্রেমিকার/স্ত্রীর বেশি আয় পুরুষের মনে নিশ্চিতভাবেই কমবেশি ঈর্ষার উদ্রেক হয়। সাধারণত আমাদের দেশের পুরুষরা নারীর চাইতে বেশি আয় করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই নারীর আয় পুরুষ সঙ্গীর চাইতে বেশি হলে সেটা পুরুষরা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারে না এবং মনে মনে ঈর্ষা বোধ করে।

যোগ্যতা
শিক্ষাগত কিংবা কর্মক্ষেত্রের যোগ্যতা নিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে হিংসার উদ্রেক হতে পারে খুব স্বাভাবিক ভাবে। প্রেমিকার শিক্ষাগত যোগ্যতা, গুন কিংবা কর্মক্ষেত্রের সফলতা দেখে মনে মনে হিংসা করে অনেক প্রেমিকই। মুখে স্বীকার না করলেও ছেলেরা কখনোই এটা মেনে নিতে পারে না যে প্রেমিকা বা স্ত্রী তার চাইতে অধিক শিক্ষিত বা অধিক ভালো পেশায় নিয়োজিত।

সৌন্দর্য্য
সকল পুরুষই চায় তার সঙ্গীনি সুন্দর হোক। কিন্তু এই সৌন্দর্যই আবার হয়ে উঠতে পারে পুরুষের ঈর্ষার কারণ! ধরুন, প্রেমিকা বা স্ত্রী অনেক সেজেগুজে একটি পার্টিতে গিয়েছেন। বন্ধুমহলে সব প্রশংসা কুড়িয়ে নিচ্ছেন, সকলেই তার তারিফ করছে। এক্ষেত্রে পুরুষেরা প্রবল ভাবে ঈর্ষা কাতর হয়ে পড়েন। বেশি সুন্দরী স্ত্রী বা প্রেমিকা নিয়ে অনেক পুরুষই বেশি বাইরে ঘোরাফেরা করতে চান না, বা বন্ধুদের সামনে নিতে চান না এই কারণে।

সামাজিক মর্যাদা
বন্ধুদের কাছে, পরিবারের কাছে কিংবা সমাজের অন্য সব মানুষের কাছে আপনি অনেক জনপ্রিয়? আপনার এই জনপ্রিয়তাই আপনার প্রেমিক বা স্বামীর মনে সৃষ্টি করতে পারে ঈর্ষা। আপনার সঙ্গী হয়তো তার মনের অজান্তেই আপনার সাথে ঈর্ষা করা শুরু করে দিয়েছে। বেশিরভাগ পুরুষই এটা সহ্য করতে পারেন না যে তার প্রেমিকা বা স্ত্রী তার চাইতে অধিক জনপ্রিয়, সামাজিক বা পারিবারিক মর্যাদায় উঁচু। এইসব ব্যাপারে ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে অনেক পুরুষই সঙ্গিনীকে কটু বাক্য বলতেও দ্বিধা করেন না।

বন্ধুত্ব
আপনি বন্ধুদের নিয়ে অনেক হইহল্লা করতে ভালোবাসেন? আপনার সঙ্গীও হয়তো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব ভালোবাসে। কিন্তু আপনি যদি আপনার প্রেমিককে ছাড়া বন্ধুদের নিয়ে আনন্দফূর্তিতে মেতে ওঠেন, তাহলে এটা নিয়ে ঈর্ষা তিনি অবশ্যই করবেন। প্রেমিকা বা স্ত্রীর আলাদা একটি বন্ধু মহল যে থাকতেই পারে এটা পুরুষেরা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না। খুব কম পুরুষই সঙ্গিনীর বন্ধুদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না।



মন্তব্য চালু নেই