ভালবাসার বইমেলা

বিশ্ব ভালবাসা দিবসে শনিবার তরুণ-তরুণীদের উন্মাদনায় প্রাণবন্ত ছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলা। আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপন করে তরুণ-তরুণীরা। তারা প্রিয়জনের হাতে হাত রেখে, চোখ চোখ রেখে আগামীর স্বপ্নে বিভোর হয়েছিল নতুনের খোঁজে। ভালবাসার বন্ধনে। প্রেমের স্মৃতি হৃদয়ে ধরে রাখার উদ্দীপনায় ক্যামেরার ফ্রেমে ধরে রাখার জন্যও মত্ত হয়ে উঠেছিলেন প্রেমিকযুগলরা। আর এই দিনটির প্রতিটি মুহূর্তকে আরও বেশী আবেগময় আরও বেশী স্মরণীয় করতে প্রায় সবাই চলে এসেছিল বইমেলায়।

প্রিয়ার শাড়ির ভাঁজ, হাঁটার ছন্দ, চোখাচোখি সবকিছুতেই ভালবাসার উচ্ছলতা আর উন্মাদনা থাকলেও আপনজনের হাতে অন্তত একটি বই তুলে দিতে ভুল করেনি কেউ।

কাছের মানুষটিকে অন্যকোথাও না নিয়ে মেলায় আসার কারণ জানতে চাওয়া হলে রাজধানীর মিরপুর থেকে আগত এক প্রেমিকযুগল জানান, প্রাণের মেলায় প্রাণের মানুষটিকে নিয়ে এসেছি। এই দিনে এর চেয়ে আর উপযুক্ত স্থান আছে বলে আমি মনে করি না।

ভালবাসার অনন্য উপহার হিসেবে বইকে বেছে নেওয়ায় শনিবার ১৪তম দিনে প্রায় প্রতিটি স্টলে ছিল কেনাবেচার ধুম। স্টলে স্টলে ছিল হাসি আর উচ্ছলতা। প্রকাশকরা জানান, এই ধারাবাহিকতা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে সকল প্রতিকূলতা ও সকল অসুন্দরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবারের গ্রন্থমেলা আলোর মুখ দেখবে।

শনিবারের বিকেলটা বড়দের হলেও সকাল ১১টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত মেলা ছিল শিশুদের দখলে। মেলার শেষ প্রহরে শিশুরা ব্যস্ত হয়ে যায় অবাধ ছোটাছুটি আর দুষ্টুমিতে। বাবা-মা’র হাত ধরে বই কেনার জন্য এক স্টল থেকে অন্য স্টলেও ঘুরে বেড়িয়েছিল ক্ষুদে বন্ধুরা। বরাবরের মতো তাদের প্রিয় বইয়ের তালিকায় ছিল কার্টুন, ছড়া, জোকস, ধাঁ ধাঁ, সাধারণ জ্ঞান ও সায়েন্সফিকশনধর্মী বই।



মন্তব্য চালু নেই