ভারি বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় ভোলায় বেড়িবাঁধের ৪টি স্পট ঝুঁকির মধ্যে

ভোলার তজুমদ্দিনে গত কয়েকদিন ধরে ভারি বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় বেড়ি বাঁধের ৪টি স্পট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট উচ্চতায় পানি প্রভাহিত হচ্ছে। ঝড়ো হাওয়ায় ও অতিবৃষ্টির কারণে উপকূলের বেশ কিছু কাঁচা ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ ও চরাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ জোয়ারের পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে।

বিপদ সংকেত থাকায় কোন মাছ ধরার ট্রলার বা নৌকা নদীতে যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি পর্যবেক্ষন কমিটি গঠন করা হয়েছে।সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মহেষখালী, চৌমুহনী, তালুক গ্রাম, হাজি কান্দি, গুরিন্দা বাজার, চাঁচড়া ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বেঁড়ি বাঁধ অতিজোয়ারের চাপে ভেঙ্গে পড়ছে। যে কোন মুহুর্তে চৌমুহনী, মহেষ খালী , তালুক গ্রাম, গুরিন্দা বাজার ও চঁচড়া সংলগ্ন ভেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নিঘুম রাত কাটাচ্ছে বাঁধ সংলগ্ন শত শত পরিবার। উপকূলীয় বাঁধ প্রকল্পের পোল্ডার নং ৫৬/৫৭ এর ৪ টি স্পটে প্রায় ২২০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এছাড়াও আরো ১ হাজার মিটার বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গত ২৮ জুলাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম সহ একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্থ এসব বাঁধ পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে অস্থায়ী প্রতিরক্ষা হিসেবে মাটি ভর্তি প্লাষ্টিক ব্যাগ, বাঁশ, বল্লি ও জিও টেক্সটাইল মাধ্যমে বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ এখনো সংস্কারের উদ্যেগ গ্রহন করা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড -২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম বলেন, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ি বাঁধের কাজ সর্ম্পন্ন হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ কামরুজ্জামান জানান, চৌমুহনী এলাকায় সকালে অতি জোয়ারের চাপে বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রভাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এসব বাঁধের কাজ চলছে। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনে পক্ষ থেকে প্রস্তুি গ্রহন করা হয়েছে। মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে এবং সকল আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই