ভারত সফর নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

চার দিনের ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর থেকে ফেরার পরদিন মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চাটায় গণভবনে সাংবাদিকদের ডেকেছেন তিনি।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিকাল চারটার মধ্যে সাংবাদিকদেরকে গণভবনে উপস্থিত থাকতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে দেশে ফিরলেই সংবাদ সম্মেলন করে থাকেন। তার সাম্প্রতিক বিভিন্ন সফরের মধ্যে ভারত সফরই সবচেয়ে বেশি আলোচিত। গত শুক্রবার তিনি দেশটিতে যান। শনিবার দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যাওয়ার আগে থেকেই এ নিয়ে আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। বিশেষ করে বিএনপি এই সফরের সমালোচনায় মুখর। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আজকে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে। সেজন্য পাঁচ বছরের জন্য এটা একটা চুক্তি করেছে- পাঁচ বছর তাকে থাকতে দিতে হবে। এই চুক্তি তো তিনি সেজন্য করলেন। ওই পাঁচ বছর পরে উনারা বোধ হয় কাগজে-কলমে দেশটাকে লিখে দিয়ে মনে হয় বিদায় নেবে আর কি।’

প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে ভারতে একটি অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপির আরও নানা অভিযোগের জবাব দেবেন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

ভারতের সঙ্গে করা চুক্তির মধ্যে বিএনপি সবচেয়ে বেশি মুখর প্রতিরক্ষা বিষয়ে করা তিনটি সমঝোতা এবং ৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি নিয়ে। দলটির অভিযোগ, এসব চুক্তি ও সমঝোতার কারণে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে। ভারতীয় অস্ত্রের মান ভাল না বলেও অভিযোগ করছেন তারা।

এ ছাড়া তিস্তা চুক্তি করতে না পারার সমালোচনা করছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন দলের নেতারা। তিস্তা চুক্তি না হলে এই সফরের কোনো মানে হয় না-এমন বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন নেতারা।

অবশ্য এবার যে তিস্তা চুক্তি হবে না-সেটা আগেই জানিয়েছিল সরকার। এই সফরে তিস্তা নিয়ে আলোচনা যে হয়নি তা নয়। চুক্তির বিরোধিতাকারী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এই সরকারের আমলেই চুক্তি সই হবে।

ভারত সফর থেকে ফেরার দিন নয়াদিল্লিতে এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী সে দেশের শীর্ষ কর্তাদের সতর্ক করে এসেছেন। তিনি বলেছেন, দুই দেশের ভবিষ্যত নির্ভর করবে পানিবণ্টন নিয়েই।

আবার ভারতের সঙ্গে যেসব বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তার বিস্তারিত জানা যায়নি এখনও। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে নানা প্রশ্নের জবাব আসতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে বরাবর প্রশ্ন করার সুযোগ পান সাংবাদিকরা।



মন্তব্য চালু নেই