‘ভারত রত্ন’ গ্রহণ করলেন বাজপেয়ী

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘ভারত রত্ন’ গ্রহণ করেছেন। তিনি ভারতের অন্যতম সফল রাজনীতিক ও রাষ্ট্রপ্রধান। তার রাজনৈতিক দল বিজেপি।

শুক্রবার বাজপেয়ীর দিল্লির বাসভবনে যান প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, বেজিপির বরেণ্য নেতা এল কে আদভানি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সভাপতি মোহন ভাগবত এবং কেন্দ্র সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা। সেখানে বাজপেয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

৯০ বছর বয়সি বাজপেয়ী শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি সব সময় বাড়িতেই থাকেন। তাকে সম্মান জানিয়ে পুরস্কার নিয়ে তার বাড়িতে চলে যান ভারতের শীর্ষ ব্যক্তিরা।

অটল বিহারি বাজপেয়ী ১৯৯০ সালে বিজেপির কোনো নেতা হিসেবে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই পাঁচ বছর পূর্ণ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিজেপির নেতা হয়েও তিনি ছিলেন উদারপন্থি প্রধানমন্ত্রী। তার সাহসী উদ্যোগ চোখে পড়ে ১৯৯৯ সালে। বাসযোগে লাহোর যান তিনি। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে ‘লাহোর ঘোষণা’ স্বাক্ষর করেন তিনি। এই ঘোষণার লক্ষ্য ছিল উভয় পক্ষ শান্তি ও স্থিতিশীতার জন্য কাজ করবে।

১৯৯৮ সালে ভারতের দ্বিতীয় পরমাণু বোমার পরীক্ষার হয় পোখারায়। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বাজপেয়ী।

২০১৩ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার ও বিজ্ঞানী সি এন আর রাওকে ভারত রত্নের জন্য মনোনিত করলে এর সমালোচনা করে বিজেপি। তাদের অভিযোগ ছিল, জাতির জন্য বাজপেয়ীর অবদানকে অস্বীকার করেছে কংগ্রেস।

বিজেপির বাজপেয়ীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বরে ‘সুশাসন দিবস’ নামে একটি দিবস চালু করেছে। ২০১৪ সালে তার জন্মদিন ও সুশাসন দিবস উদযাপন করে বিজেপি। একই বছর ২৪ ডিসেম্বর ভারত রত্নের জন্য তার নাম ঘোষণা করা হয়।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি অনলাইন।



মন্তব্য চালু নেই