ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ

বিশ্বের শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ভালো অবস্থানে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ। প্রতিবেশি ভারত-পাকিস্তান এমনকি বিশ্বের পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও তালিকায় অনেক এগিয়ে রয়েছে দেশটি। ১৬২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬২তম। তালিকায় একেবারে তলানিতে রয়েছে সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান।

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক বৈশ্বিক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড পিস পরিচালিত এক সমীক্ষায় এমন চিত্র ওঠে এসেছে। সংস্থাটি চলতি সপ্তাহে ‘গ্লোবাল পিস ইনডেক্স (জিপিআই) নামে বিশ্বের শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর একটি সূচক প্রকাশ করে। সমীক্ষা সূচকে সহিংসতার মাত্রা, অভ্যন্তরীণ ও বহির্মুখী সহিংসতা ও সামরিক শাসনের মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করেছে সংস্থাটি।

শান্তিপূর্ণ দেশের সূচকে সবার ওপরে রয়েছে আইসল্যান্ড। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি শান্তিপূর্ণ দেশের মধ্যে ছয়টি দেশ ইউরোপ মহাদেশের। বিশ্বের শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়া। বাকিরা হলো যথাক্রমে-নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও চেক রিপাবলিকান।

দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা (১১৪), ভারত (১৪৩), পাকিস্তান (১৫৪) ও আফগানিস্তান (১৬০)। বাংলাদেশের আগের দুটি অবস্থান ভুটান (১৮) ও নেপালের (৬২)।

ইনস্টিটিউট ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড পিস সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে ইউরোপ। কারণ এখানে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সহিংসতা কম।কম শান্তিপূর্ণ বা সহিংসতাপূর্ণ দেশ হিসেবে সূচকের তলানিতে রয়েছে সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান। সূচকে তলানিতে থাকা অন্যদলগুলো হলো- দক্ষিণ সুদান (১৫৯), মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র (১৫৮), সোমালিয়া (১৫৭) ও সুদান (১৫৬)।

ইনস্টিটিউট ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড পিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৯৪তম। সামরিকীকরণ, নরহত্যা ও সহিংসতার ঝুঁকির কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পেছনের সারিতে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে সহিংসতা কিছুটা বাড়ায় দক্ষিণ এশিয়া শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ওপরে উঠে এসেছে। যদিও এই অঞ্চলের দেশগুলো এককভাবে খুব বেশি এগোতে পারেনি। তবে ভুটান, নেপাল ও বাংলাদেশের ইতিবাচক অর্জন হয়েছে।

সূচকে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ১৬২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ১৫৭তম অবস্থানে। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সহিংসতার সূচকে বাংলাদেশের স্কোর চারের মধ্যে ১ দশমিক ৫৭। পাকিস্তানের স্কোর ৩ দশমিক ৩৮। স্কোর যত কম হয়, অবস্থান তত ভালো।

সামাজিক নিরাপত্তার ডোমেইনে বাংলাদেশের স্কোর পাঁচের মধ্যে ২ দশমিক ৬৩। সামরিকীকরণ ডোমেইনে বাংলাদেশের স্কোর ১ দশমিক ২৩।



মন্তব্য চালু নেই