মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার

ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে সক্রিয় মোবাইল ব্রডব্যান্ড সাবসক্রাইবার প্রতি ১০০ জনে ৬ দশমিক ৪। এ হিসাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯তম। সেখানে ভারত শতকরা ৫ দশমিক ৫ নিয়ে ১৫৫তম এবং পাকিস্তান ৫ দশমিক ১ নিয়ে ১৫৬তম অবস্থানে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডিজিটাল উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের ১১তম সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৫ সালের বিশ্ব ব্রডব্যান্ড পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।

ব্রডব্যান্ড কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে প্রতি ১০০ জনে তারযুক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের তালিকায় বাংলাদেশের সূচক ছিল ১৩৬ (০.৬ শতাংশ)। এ ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ৪ ধাপ এগিয়ে হয়েছে ১৩২।

২০১৪ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বাসাবাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগের হার ছিল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ (১০২তম) । ২০১৫ সালে এসে এ হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশে (১০১তম) ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৯ দশমিক ৬। বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম। ১৪৪টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫তম। ৪৮টি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম।

hasib

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের ইন্টারনেট সুবিধা নেই। এ বছরের শেষেও বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষই এ সুবিধা বঞ্চিত থেকে যাবেন।

২০১৫ সাল শেষেও বিশ্বের ৪০০ কোটি মানুষ অনলাইন সুবিধা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য। উন্নত দেশের ৮২ শতাংশ নাগরিকের ইন্টারনেট সুবিধা আছে। বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ার হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে আর এর হার আর বাড়ছে না।

এদিকে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মাত্র ৩৪ শতাংশ বাড়িতে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছেছে। এর ফলে ২০১৫ সাল শেষ হলেও বিশ্বের ৫৭ শতাংশ বা ৪০০ কোটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছাবে না।

বিশ্বে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ৩২০ কোটি। এ বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ৪০০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে থেকে যাবে।

২০১০ সালে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ও ইউনেসকো মিলে ব্রডব্যান্ড কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। ব্রডব্যান্ড কমিশনের ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষকে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় রাখার প্রত্যাশা থাকলেও তা পূরণ হচ্ছে না।



মন্তব্য চালু নেই