ভারত নয়, অভিযোগ আইসিসির বিরুদ্ধে: কামাল

বিশ্বকাপ শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না। বিশ্বকাপ ফাইনাল একপেশে হলেও আইসিসি প্রেসিডেন্ট এবং চেয়ারম্যান সেটাকে একপেশে হতে দিচ্ছেন কোথায়? আইসিসি চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসন গুটিকয়েক আইসিসি কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে প্রেসিডেন্ট আ হ ম মুস্তফা কামালকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উঠতে না দিয়ে শুধু তাকেই নয়, গোটা বাংলাদেশকেই অপমানিত করেছেন।

অথচ আইসিসির বিধি অনুযায়ী মাইকেল ক্লার্কের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার কথা ছিল মুস্তফা কামালেরই। তা না করে শ্রীনিবাসনরা ন্যাক্কারজনকভাবে দেখিয়ে দিল তাদের ক্ষমতার জোর! এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা সাক্ষাৎকার নিয়েছে আইসিসি প্রেসিডেন্ট মুস্তফা কামালের। এটাতে কোন পরিমার্জন না করে পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেওয়া হলো।

“…এই যে কথাটা আপনারা বারবার বলছেন বা লিখছেন আমি ভারত বিরোধী বিবৃতি দিয়েছি, কোথায় দিয়েছি আমায় দেখান? আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে ভারতের অবদানের জন্য যথেষ্ট কৃতজ্ঞ। ভারত যে বাংলাদেশের তুলনায় ভাল টিম তা-ও আমি জানি।

কিন্তু একই সঙ্গে আমি ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালবাসি। সেদিন মেলবোর্নে যা ঘটেছে তাতে আমার মতে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার যথেষ্ট ক্ষেত্র তৈরি ছিল না। প্রথমত ওই যে, স্কোরবোর্ডে বিজ্ঞাপণটা জিতেগা ভাই জিতেগা ইন্ডিয়া জিতেগা এটার মানে কী?

এটা মাঠে যে ইচ্ছে দোলাক। আইসিসি পরিচালিত স্কোরবোর্ডে থাকবে কেন? তার মানে কি আগেই ধরে নেওয়া হচ্ছে ভারত জিতছে? বাকি টিমটা ¯্রফে হারার জন্য এসেছে? আমি ম্যাচ চলাকালীন প্রতিবাদ করে বলি যে এটা কি হচ্ছে? আমার দেশের মানুষ এটা টিভিতে দেখে কি ভাবছে যে, ইন্ডিয়াকে কি আগেই জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে? সেদিন আমি বলি বিজ্ঞাপণটা নামাতে।

আইসিসির কমার্শিয়াল ম্যানেজার নিজে আমার সামনে ফোন করলো। তবু ওটা থেকে গেল। অথচ সিডনিতে যখন ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ হলো তখন ওটা উধাও! কেন ভাই, আগের দিন দিয়ে পরের দিন যদি তুলবি তাহলে আমাদের দিন রাখলি কেন? টিভি রিপ্লেটাও আমাদের দিন বেশি দেখানো হয়নি। কেন হবে না আমায় বলুন তো? তাছাড়া রায়নার আউটের সময় বললো, ‘দিস ইজ ৫০-৫০’। যে কোনও দিকে যেতে পারতো। ভারতের দিকে গেল। এটা কী কথা? আমাকেও তো আমাদের দেশের মানুষের কাছে জবাবদিহী করতে হয় যে, আপনি আছেন তাহলে বাংলাদেশের উপর এইগুলো হচ্ছে কেন?

কোথাও তো আমাকে বলতেই হবে। কিন্তু কোন কথাটা আমি অযৌক্তিক বলেছি আমাকে বোঝান। আইসিসি যদি আমায় ডাকে আমি আমার বক্তব্য বলবো। ওরা তো সেটা শোনার আগেই আমাকে প্রাইজ দেওয়া থেকে সরিয়ে দিল। এ নিয়ে এখুনি বলছি না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি। ল’ইয়ারের মতামত নিই তারপর সবিস্তার বলবো। আপনাদের কাগজে শুধু এটা লিখবেন যে, আমার স্ট্যান্ড ভারত বিরোধী নয়। আমি প্রশ্ন তুলেছি আইসিসির নীতি সম্পর্কে।’



মন্তব্য চালু নেই