ভারতে হামলা আসন্ন, ইসরাইলের সতর্কবার্তা

ভারতে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সময় পর্যটকদের উপর হামলা হতে পারে জানিয়ে দেশটিতে পশ্চিমা নাগরিকদের ভ্রমণের বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে ইসরাইল।

শুক্রবার রাতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী দফতর এ সতকর্তার কথা জানায়। খবর এনডিটিভির।

এতে বলা হয়, ‘ভারতে পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তু এবং পর্যটকদের উপর আসন্ন হামলার আশংকা রয়েছে বলে আমরা ইসরাইলি পর্যটকদের সতর্ক করছি।’

ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এ হামলার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে বিবৃতি উল্লেখ করা হয়েছে। এ অঞ্চলে দেশটির জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র গোয়া, পুনে, মুম্বাই এবং কোচিন অবস্থিত।

বিবৃতিতে, বর্ষবরণ উপলক্ষে আগামী কয়েকদিন সমুদ্র সৈকত এবং ক্লাবগুলোতে আয়োজিত পার্টিগুলোতে হামলার উচ্চমাত্রার ঝুঁকি রয়েছে জানিয়েছে পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে।

এছাড়াও ইসরাইলি পর্যটকদের মার্কেট, মেলা এবং জনাকীর্ণ বাজারগুলোকে এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

তেল আবিব থেকে সতর্কবার্তা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে নয়াদিল্লিতে ইসরাইলি দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের সৈকত পার্টি, ক্লাব এবং জনাকীর্ণ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণের বিষয়ে ইসরাইল সতর্কবার্তা জারি করেছে।

তবে ইসরাইলি সন্ত্রাসবিরোধী দফতরের বিবৃতিতে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কোন বিষয়ের ভিত্তিতে এ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনকে সামনে রেখে বার্লিনের একটি মার্কেটে পরিচালিত হামলায় ১২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় আসন্ন বর্ষবরণকে উপলক্ষে বিশ্বজুড়েই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ইসরাইলিদের কাছে ভারত খুবই জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। জুইশ পোস্টের হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর আনুমানিক ২০ হাজার প্রাক্তন ইসরাইলি সেনা ভারত ভ্রমণ করে থাকে।

এর আগে ভারতে ইসরাইলি নাগরিক এবং ইহুদি স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের চাবাদ হাউজসহ বিভিন্ন ইহুদি স্থাপনায় সবচয়ে বড় হামলার ঘটনা ঘটে। পাকিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্যরা এসব হামলা চালিয়েছ বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে ২০১২ সালে নয়াদিল্লিতে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে এক বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধির স্ত্রী তাল যেহুশুয়া কোরেন মোটামুটি আহত হন।



মন্তব্য চালু নেই